ভোটাররা মূলত এ আসনে তিন প্রধান দলের তিন সভাপতির লড়াই হিসেবেই দেখছেন। যদিও তারা মনে করছেন, মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থীর মধ্যে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২১, ২২, ২৩, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা-১১ আসন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ এলাকার মোট ভোটার ৪ লাখ ১৫ হাজার ৫৫৫ জন।
রামপুরা, বাড্ডা, বেরাইদ, ভাটারা এলাকার এ আসনে নির্বাচনের প্রচারে অনেক এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। ভোটাররা বলছেন, পুরো নির্বাচনী এলাকাজুড়ে রহমতুল্লাহর পোস্টার, নির্বাচনী ক্যাম্প ও গণসংযোগ অনেক বেশি।
প্রধান তিন দলের প্রার্থী ছাড়াও এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, গণফোরামের মোজাম্মেল হক (উদীয়মান সূর্য), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল বাতেন (কাঁঠাল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আমিনুল ইসলাম (হাতপাখা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. মিজানুর রহমান (আম), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের শরীফ মো. মিরাজ হুসেইন (হারিকেন)।
এলাকায় জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন জাতীয় পার্টির ফয়সল চিশতী। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, গণসংযোগকালে ভোটারদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে সাড়া পাচ্ছি। এ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে আশা করছি। প্রচারণায় বাধা না পেলেও, আমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে।
জমজমাট প্রচারণায় নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা এ এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরছেন। তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক ইচ্ছায় বাড্ডা-সাতারকুল-ভাটারা-বেরাইদ এই চারটি ইউনিয়নকে সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০১১ সালে বাড্ডা-সাতারকুল-বেরাইদ ইউনিয়নে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে। পানির সমস্যা সমাধানে অনেকগুলো গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে।
প্রার্থীদের মধ্যে স্বল্প পরিসরে গণসংযোগ চালাচ্ছেন বিএনপির শামীম আরা বেগম। ইতিমধ্যে খিলবাড়ির টেক এবং নুরেরচালা, আদর্শ নগর, আলিফনগরসহ বাড্ডার বিভিন্ন অংশে তিনি গণসংযোগ চালিয়েছেন।
গণসংযোগকালে শামীম আরা বেগম সাংবাদিকদের কাছে প্রচারণা নিয়ে অভিযোগ করে বলেন, আমার নেতা-কর্মীদের ভীতি দেখানো হচ্ছে। পুলিশ গ্রেপ্তার করছে। সরকারি দলের প্রার্থী যেভাবে প্রচার চালাচ্ছে, সেভাবে আমাদের প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেতা-কর্মীরা ওপেন হতে পারছে না। নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি করছে।
উত্তর বাড্ডার ভোটার বাবুল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, উন্নয়ন তো হইছে। আরও হবে। তাই উন্নয়নের পক্ষে ভোট দেওয়া উচিত। আর সে ক্ষেত্রে রহমতুল্লাহ সাহেব সুবিধা পাবেন এলাকায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এ আসনের এমপি। সমস্যা-সম্ভাবনা তিনিই বেশি বুঝবেন।
রামপুরা এলাকার বাসিন্দা আবুল খায়ের বলেন, উন্নয়নের কথা বলছে সরকার। এই এলাকায়ও অনেক উন্নয়ন হইছে। রামপুরা ব্রিজ ও বাড্ডা ইউলুপসহ ড্রেন, রাস্তাঘাটের ব্যাপক সংস্কার ও উন্নয়ন হয়েছে। তারপরেও প্রতীক হিসেবে দুই দলের মধ্যেই লড়াই হবে। কারণ, শামীম আরা মাঠে থাকলেও পেছনে কিন্তু তার স্বামী কাইয়ুম আছে। সে হয়তো সব কলকাঠি নাড়ছে। উনি সাবেক কমিশনার ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
এমআইএইচ/ইএস/এমজেএফ