মামলায় ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সরদার সরফুদ্দিন আহমেদসহ (সান্টু) তার কর্মী-সমর্থক ও স্থানীয় (উজিরপুর-বানারীপাড়া) বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ওই মামলায় উজিরপুরের ওটরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহে আলম তালুকদারের চাচাতো ভাই ও উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি নুরুল হুদা তালুকদার বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান জানান, দায়েরকৃত মামলায় বিএনপি ধানের শীষের প্রার্থী সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুসহ ৪৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া আরো অজ্ঞাতপরিচয় ৫০/৬০ জন আসামি রয়েছে। যে মামলায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুর আগ্নেয়াস্ত্রটি জব্দ করা হয়েছে।
ওসি বলেন, মামলায় অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে বানারীপাড়া পৌরসভার পাশে বাসস্ট্যান্ডে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অবস্থান করছিলেন। এসময় বিএনপি’র প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুর নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নৌকার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এসময় সান্টু আত্মরক্ষার্থে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আহত হন।
সোমবার বিকেলে বানারীপাড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় ধানের শীষ ও নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এসময় উভয় গ্রুপের ২০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হন। ঘটনাস্থলে থাকা ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়লে এলাকাজুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মামলা করা হলেও, বিএনপি’র পক্ষ থেকে কোনো মামলা কিংবা অভিযোগ নিয়ে কেউ আসেনি বলেও বানারীপাড়া থানার ওসি নিশ্চিত করেছেন।
বানারীপাড়ায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও গুলি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিএনপি প্রার্থী ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮
এমএস/এএটি