দলীয় আনুগত্য, চরম পক্ষপাতমূলক ও অশোভন আচরণের অভিযোগ তুলে ভোটের ৪ দিন আগে মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে সিইসি কে এম নুরুল হুদার পদত্যাগের দাবি তুলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বর্তমানে এ দাবি নিয়েই ভোটের মাঠে থাকবে তারা।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা বলছেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর বর্তায়। কিন্তু বর্তমান সিইসির অধীনে নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত তো দূরের কথা, নিরপেক্ষ আচরণও আশা করছে না সরকারবিরোধী এ রাজনৈতিক জোট।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সিইসি কে এম নুরুল হুদার পদত্যাগ দাবিতে অনড় থাকবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এটিই এখন একমাত্র দাবি এ রাজনৈতিক জোটের। পক্ষপাতিত্ব ও অশোভন আচরণের প্রতিবাদে ঢাকায় সব নির্বাচনী জনসংযোগ স্থগিত রেখেছে ঐক্যফ্রন্ট। ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর ঢাকার বিভিন্ন স্থানে জনসংযোগ করার কথা ছিল। কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ সিদ্ধান্ত স্থগিত রয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে বৈঠক করতে নির্বাচন কমিশন ভবনে যায় ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে যায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দল। সারা দেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী দ্বারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, গুলি ও গ্রেফতারের সুনির্দিষ্ট তথ্য তুলে ধরা হয়। কিন্তু সিইসি কেএম নুরুল হুদা সরকার দলীয় নেতাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন। এসব দাবি অগ্রাহ্য করে সরকার দলীয় নেতাদের মতো সিইসির ভূমিকায় আমরা বিস্মিত। সিইসির অশোভন আচরণ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ একমাত্র সমাধান।
বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, এই মুহূর্তেই সিইসির পদত্যাগ চাই। এই সিইসি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বাংলানিউজকে বলেন, ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার আন্দোলন চলছে। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অশোভন ও দলীয়বাজির আচরণে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শংকিত। তাই ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সিইসির পদত্যাগ দাবিতে অনড় থাকবে। দাবি আদায় ও আন্দোলন একসাথেই চলবে, এ সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে।
তিনি জানান, শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সিইসির অশোভন ও দলবাজির আচরণের প্রতিবাদে ঢাকায় জনসংযোগ স্থগিত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮
টিএম/এমজেএফ