এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে মিরপুরের এই নেতা ধরাশয়ী হন আওয়ামী লীগ নেতা আসলামুল হক আসলামের কাছে। কিন্তু এবার এস এ খালেক নয়, তার ছেলে সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক সাজুকে লড়তে হবে আসলামুল হকের বিরুদ্ধে।
২০০৮ সালের নির্বাচনে এস এ খালেক পেয়েছিলেন ৮৪ হাজার ৬৫৫ ভোট। অপরদিকে আওয়ামী লীগের আসলামুল হক ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন আসলামুল হক।
ঢাকা-১৪ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৬ হাজার ৫৩৪ জন। আসনটিতে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৮ হাজার ৪৪ জন এবং ১ লাখ ৯৮ হাজার ৪৯০ নারী ভোটার।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৭, ৮, ৯, ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড এবং সাভার উপজেলার কাউন্দিয়া ইউনিয়ন এ আসনের অন্তর্ভুক্ত।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, আসলামুল হকে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো নির্বাচনী এলাকা। রয়েছে ছোট ছোট নির্বাচনী ক্যাম্প। যেখানে গানের সুরে সুরে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। তবে এর মাঝে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর পোস্টারও চোখে পড়ার মতো। আর কারো তেমন কোনো পোস্টার চোখে পড়েনি। তবে ২/১টি ব্যানার-পোস্টার দেখা গেছে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে।
মিরপুর মাজার রোডের বাসিন্দা সাইদুল বাংলানিউজকে বলেন, “এমপি সাহেব ছাড়া আর কোনো কথা নেই। সবখানে এমপি সাহেবের ব্যানার পোস্টার। নেতারা আসছেন, মিছিল করছেন, ভোট চাচ্ছেন। জমজমাট প্রচারণা। ২০০৮ সাল থেকে তো উনিই মাঠে আছেন, থাকবেন। নতুন কেউ এখানে এমপি হতে পারবেন বলে মনে হয় না। বেশিরভাগ ভোট উনার পক্ষেই যাবে বলে মনে হচ্ছে। ”
ঢাকা-১৪ আসনের অন্য প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির মোস্তাকুর রহমান (লাঙল), বিএনএফের আনোয়ার হোসেন (টেলিভিশন), ইসলামী আন্দোলন বালাদেশের আবু ইউসুফ (হাতপাখা), জাকের পার্টির জাকির হোসেন (গোলাপ ফুল) ও সিপিবির রিয়াজ উদ্দিন (কাস্তে)।
গাবতলী এলাকার বাসিন্দা কবির হোসেন বলেন, “খালেক সাহেব নির্বাচনে নেই, তার ছেলে তো আছেন। উনি এ এলাকার বার বারের এমপি। ছেলেকে জেতানোর জন্য সবকিছু তো করবেন। যদিও এখনো মাঠে তাদের দেখা যায়নি। কিন্তু আসলামুল হক তো টানা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ”
প্রতিদিন প্রচার-প্রচারণা এবং সভা করে যাচ্ছেন আসলামুল হক। গণসংযোগকালে তিনি বলেন, মাদক-সন্ত্রাস বন্ধ করে আমাদের নতুন প্রজন্মকে সুন্দর ঢাকা-১৪ আসন উপহার দিচ্ছি। আশা করি, ইনশাল্লাহ আমাদের নতুন প্রজন্ম আগামীর বাংলাদেশ, উন্নয়নের বাংলাদেশের পক্ষে থেকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এই ডিজিটাল বাংলাদেশের পক্ষেই থাকবে। সেই বার্তা নিয়েই ভোটারদের কাছে যাচ্ছি। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮
এমআইএইচ/ইএস/এমজেএফ