তিনি বলেন, যেভাবে পাইকারী হারে গ্রেফতার করা হচ্ছে, এটা অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে গেছে। তাদের কার্যকলাপে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত।
বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, আমার নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ উদ্বিগ্ন। আমি তাদের বলেছি, আমার নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, পুলিশ সম্পর্কে আমার বক্তব্য নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। অতীত যদি দেখেন, আমি সবসময়ই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশংসা করেছি। ৭১ সালে ২৫ মার্চ রাতে রাজারবাগে কিভাবে পুলিশ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
গ্রেফতার নয়, খোঁজ খবর নিতেই পুলিশ কর্মকর্তারা কার্যালয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছেন ড. কামাল হোসেন।
ভোটের আর মাত্র ৩ দিন বাকি, এখনো ধানের শীষের প্রার্থীদের ধরপাকড় চলছে, তাই সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত কি না জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন বলেন, শঙ্কিত তো অবশ্যই। তাদের কার্যকলাপে আমরা শঙ্কিত।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোটে কোনো অনিয়ম হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই রুখে দাঁড়ানো হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন আমাদের অধিকার। তবে শেষ পর্যন্ত যদি অসম্ভব করে দেয়, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই লড়াই করে যাবো।
নির্বাচনের আগে জনসভা করবেন কি না জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন বলেন, জনসভার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এটা আমার জীবনেও শুনিনি। সব সময়ই নির্বাচনের আগে জনসভা করে রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু এবার প্রথমই শুনলাম, পুলিশের নাকি অনুমতি লাগে।
ভোটের ৪ দিন আগে নতুন সিইসি নিয়োগ কতটুকু যুক্তিসঙ্গত জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন বলেন, রাষ্ট্রপতি চাইলেই নিয়োগ দিতে পারেন। নতুন সিইসি দায়িত্ব পালনে কোনো অসুবিধা হবে না।
প্রার্থিতা বাতিল হওয়া আসনগুলোতে কাউকে সমর্থন দেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, ইতিমধ্যে ৩ আসনে গণফোরামের প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। আরো যাচাই-বাছাই চলছে, হয়ত সমর্থন দেওয়া হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮
টিএম/এসএইচ