রিটার্নিং অফিসারদের কাছ থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ফলাফল ঘোষিত ১৮১টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ১৭৬টি আসন পেয়েছে। এর মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ এককভাবে পেয়েছে ১৬৩টি আসন, মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি লাঙল প্রতীক নিয়ে পেয়েছে ১৩টি আসন।
অন্যদিকে সরকারবিরোধী বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে ৩টি আসন। এছাড়া স্বতন্ত্রসহ অন্যান্য প্রার্থীরা পেয়েছেন ২টি আসন।
প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজয়ী আওয়ামী লীগ ও প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধানও বিশাল।
গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন।
নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৩৯ হাজার ৫৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এস এম জিলানী পেয়েছেন মাত্র ১২৩ ভোট।
দেশের প্রায় সব আসনে একই রকম ভোট ডাকাতি হয়েছে অভিযোগ করে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে পুনঃনির্বাচন দাবি করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচন দাবি করে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেন বলেন, অবিলম্বে এ প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করা হোক। এ নির্বাচনের কথিত ফলাফল আমরা প্রত্যাখ্যান করছি এবং সেই সঙ্গে নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনঃনির্বাচন দাবি করছি।
দলীয় নির্বাচনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় এবং ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল বলে প্রমাণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ঐক্যফ্রন্ট মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অন্যদিকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি), আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম। এই নির্বাচনকে ‘যেকোনো মানদণ্ডে ঐতিহাসিক’ নির্বাচন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে প্রমাণ করে এ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে দাবি করেন এইচ টি ইমাম।
বিএনপির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে যে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও পরিচ্ছন্ন নির্বাচন সম্ভব, তা প্রমাণিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮
এমইউএম/এমজেএফ