তিনি বলেছেন, দুয়েকদিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে গেজেট প্রকাশ করা হবে। এরপর সংসদ সদস্যরা (এমপি) শপথ নেবেন।
মঙ্গলবার (০১ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কাদের এসব কথা বলেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত সাতজনের শপথের প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশের উত্তরে তিনি বলেন. আমি আহ্বান জানাবো, তাদের শপথ নিতে। শপথ না নিয়ে তারা জনগণের রায়কে যেনো অসম্মান না করেন। এটা আমার আহ্বান।
পড়ুন>> এটা কি মামা বাড়ির আবদার, ঐক্যফ্রন্টকে কাদের
‘তারা যদি শপথ না নেয় তাহলে সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী, নতুন নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন নিয়ম অনুযায়ী যেটা করার করবে। ’
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি দলের সাধারণ সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, নেতাকর্মীদের বলবো, বাড়াবাড়ি না করে প্রতিপক্ষের প্রতি হিংসা না দেখিয়ে ধৈর্য সহকারে সংযমী হওয়ার জন্য।
অপর এক প্রশ্নে উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে গণজোয়ার তৈরি হয়েছিলো ১৯৭০ সালের পরে এমন গণজোয়ার দেখা যায়নি। এই গণজোয়ারে বিএনপির পরাজয়। এটাই ছিলো স্বাভাবিক, এটা অস্বাভাবিক কোনো বিষয় না। বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতা ছিলো। তারা যেমন আন্দোলন করতে পারেনি তেমনি নির্বাচনেও জনগণের কাছে যেতে পারেনি।
‘তাদের অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীরাও পোলিং এজেন্ট দিতে পারেনি। তাদের কোনো প্রচার ছিলো না। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, বিশ্বকে দেখানোর জন্যই তারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো। ’
আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তারা এতদিন কোনো আন্দোলন করতে পারেনি। তারা এতো নার্ভাস, এতো হতাশ, নেতারাই ভেঙে পড়েছে। তাদের কর্মীরা কী করবে? আন্দোলনে তাদের প্রস্তুতি আছে কিভাবে? একটি বিক্ষোভের কর্মসূচিও তো দিতে পারতো। খালেদা জিয়া কারাগারে গেলো এরপরও তারা কোনো কর্মসূচি দিতে পারেনি। আমার মনে হয় না, বিএনপি আন্দোলন করতে পারবে।
জাতীয় পার্টি এবারও সরকারের থাকবে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বিষয়টির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন আমাদের দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৯/আপডেট: ১৪১৬ ঘণ্টা
এসকে/এমএ