বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকটি শুরু হয়। এরইমধ্যে কার্যালয়ে ঢুকেছেন শতাধিক প্রার্থী।
জানা গেছে, এই বৈঠকের পর নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে বিকেল ৩টার দিকে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দিতে যাবেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে গুলশান কার্যালয়ে প্রবেশ করার সময় জেএসডি সভাপতি আ স ম রব সাংবাদিকদের বলেন, আমরা হঠকারী কোনো সিদ্ধান্তে যাবো না। মাঠপর্যায়ে ভোটারদের কাছে যাবো। তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করবো। ৩০ তারিখে কোনো ভোট হয়নি, ভোট ডাকাতি হয়েছে। রাতেই ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করা হয়েছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২৮৮টি আসনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। নির্বাচনে মাত্র সাতটি আসনে জিততে পারে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নিরঙ্কুশ এই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য আওয়ামী লীগ অভিনন্দনে সিক্ত হতে থাকলেও ঐক্যফ্রন্ট শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছে, নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের জেতানোর জন্য ব্যাপক কারচুপি-জালিয়াতি হয়েছে।
এরপর ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও পরে সন্ধ্যায় তাদের জোটের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কারচুপির প্রতিবাদে বিএনপি ও জোটের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন না। তারা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে অবস্থান জানিয়ে দেন।
বিএনপির নির্বাচিত পাঁচ এমপি হলেন- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (বগুড়া-৬ আসন), মোশারফ হোসেন (বগুড়া-৪), জাহিদুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩), আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২) ও হারুনুর রশিদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩)। আর গণফোরামের দুই এমপি হলেন- সুলতান মোহাম্মদ মনসুর (মৌলভীবাজার-২) ও মোকাব্বির খান (সিলেট-২)।
ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। তবে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব, এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদসহ জোটের অন্য কোনো সিনিয়র নেতা এবারের নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৯
এমএইচ/এএটি/এইচএ/
** গুলশানে আসছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা