শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাশেম।
লিখিত বক্তব্যে আবুল কাশেম বলেন, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি এ দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ ঐতিহ্যবাহী পেশাজীবী সংগঠন। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের এ সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষকদের জাতীয়করণ করে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়েছিলেন। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহে প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল এক ধাপ উন্নীত করা হয়। এ পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষায় যতো উন্নতি ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে প্রায় সবই বঙ্গবন্ধু এবং তার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বেই হয়েছে। সেজন্য প্রাথমিক শিক্ষকরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এ সরকারের প্রতি আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে, আমাদের প্রাথমিক শিক্ষকদের অসম্পন্ন দাবি-দাওয়া সমূহ নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী খুব দ্রুতই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বাস্তবায়িত হবে। এ সরকারের কাছে প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রত্যাশা অনেক। আমরা বিশ্বাস করি জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ সরকার জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সক্ষম হবে।
সমিতির সভাপতি মো. আতিকুর রহমান আতিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ বিশিষ্টজনেরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৯
এইচএমএস/আরবি/