এ লক্ষ্যে রোববার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছে দলটি। আয়োজিত বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদেরও থাকার কথা রয়েছেন।
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভোটের আগের রাতে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে রাখাসহ বিভিন্ন অনিয়মের যে অভিযোগ দলটি করে আসছে, তার ‘ভিডিও চিত্র’ দেখানো হবে কূটনীতিকদের। মোবাইল ফোন সেবাদাতা অপারেটরগুলোর থ্রিজি-ফোরজি নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখার বিষয়সহ নির্বাচনের আগে অনেকগুলো ওয়েবপোর্টাল বন্ধ করার বিষয়ও জানানো হবে বিদেশি কূটনীতিকদের। এসব নিয়ে নির্বাচনের পরদিন থেকেই কাজ করছে বিএনপির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি।
জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘এটা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, মিডিয়া কাভারেজ নেই’।
গণফোরামের প্রশিক্ষণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিকেলে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠকে ড. কামাল হোসেন এর থাকার কথা রয়েছেন। ’
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে জোটগতভাবে অংশ নেয় বিএনপি-গণফোরাম-কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ-নাগরিক ঐক্যসহ কয়েকটি দল। এতে এমপি নির্বাচিত হন বিএনপির পাঁচজন ও গণফোরামের দুইজন।
নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি-জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ঐক্যফ্রন্ট। এ নিয়ে ৩ জানুয়ারি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেওয়া হয়, যেখানে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানায় তারা। সেদিন আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের নির্বাচিত এমপিরা শপথ নিলেও নেননি ঐক্যফ্রন্টের সাত এমপি।
ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত এমপিরা শপথ নেবেন কি-না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে সেদিনই জোটের মুখপাত্র ও নির্বাচিত এমপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা শপথ নিচ্ছি না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৯
এমএইচ/আরআইএস/এইচএ/