নতুন মন্ত্রিসভায় জাহিদ ফারুকসহ বরিশাল বিভাগ থেকে দু’জন স্থান পেয়েছেন। অন্যজন হলেন পিরোজপুর-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম।
তবে বরিশাল বিভাগ আওয়ামী লীগের অভিভাবকখ্যাত প্রবীণ নেতা সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, উপ-মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আলম ইসলাম জ্যাকব, শরিক দলের সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, বরিশালের সন্তান সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবার মন্ত্রিত্ব না পাওয়ায় হতাশ গোটা দক্ষিণাঞ্চলবাসী।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাস বরিশাল সদর আসন থেকে ১৯৭৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯-৮০ সময়ে তিনি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভার পাটমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৮১-৮২ সালে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের মন্ত্রিসভায় তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। এরপর ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের পর তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে জাতীয় নির্বাচনে বরিশাল সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য হন সাবেক সচিব মতিউর রহমান। তিনি ওই সময় জাতীয় পার্টি সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন। ২০০১ সালে ২০ দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির মজিবর রহমান সরোয়ার জাতীয় সংসদের হুইপ হন।
সূত্রে আরও জানা যায়, ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল সদর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জাহিদ ফারুক। ওই নির্বাচনে মজিবর রহমান সরোয়ার ১ লাখ ৫ হাজার ভোট পেয়ে বিজয়ী ও জাহিদ ফারুক শামীম ৯৯ হাজার ৩৯৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। ২০১৪ সালে জাহিদ ফারুক আর এ আসনে মনোনয়ন পাননি। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে তাকে মহাজোটের মনোনয়ন দেওয়ার পর ২ লাখ ১৫ হাজার ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার।
মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে চলমান উন্নয়নের ধারা বজায় রেখে দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের জন্য কাজ করে যাবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৯
এমএস/এএ