বুধবার (০৯ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ আসনের স্থগিত তিন কেন্দ্রের পুনর্নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পর গণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া।
সংবাদ সম্মেলনে বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ওসি মো. বদরুল আলম তালুকদার বিএনপির বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে সহযোগিতা করলেও আমাকে ও আমার নেতাকর্মীদের উঠান বৈঠকেও বাধা দিয়েছেন। তাই সাতদিনের মধ্যে তার অপসারণ দাবি করছি। আর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সফিউল্লাহ মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক হানিফ মুন্সি, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান রতন, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা কামরুজ্জামান আনসারি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহজাহান আলম সাজু বিভিন্ন সময়ে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা ও বিএনপির প্রার্থী আবদুস সাত্তারকে জয়ী করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। পাশাপাশি যখন আমি ভোটের ব্যবধানে কাছাকাছি চলে এলাম তখনই বিএনপির প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য তারা প্রকাশ্যে দলীয় নেতকাকর্মীদের হুমকি-ধামকি দিতে শুরু করেন। যদিও আমাকে নির্বাচনের মাঠে তারাই প্রতিশ্রুতি দিয়ে নামিয়েছিলেন। তাই তাদের প্রত্যেককে দল থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু নাছের আহমেদ, উপজেলা পরিষদ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমির হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান, তালশহর ইউপি চেয়ারম্যান আবু সামা, আড়াইসিধা ইউপি চেয়ারম্যান মো. সেলিম মিয়া, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন, চরচারতলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. জিয়াউদ্দিন খন্দকার, দূর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল করিম খান সাজু, শরীফপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফ উদ্দিন চৌধূরীসহ উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৯
এসআই