ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

এটাকে বঙ্গবন্ধু বলতেন রাজচালাকি: ড. কামাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৯
এটাকে বঙ্গবন্ধু বলতেন রাজচালাকি: ড. কামাল আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্য রাখছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ২০০৮ সালে নির্বাচন হয়েছিল। ২০১৪ সালে কেউ নির্বাচনে গেলো না। তারা বললো সাময়িকভাবে করা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন না দিয়ে পাঁচ বছর থাকলো। পাঁচ বছর পরে যখন নির্বাচন আসলো তখন এই প্রহসন দেখতে হচ্ছে। এটাকে বঙ্গবন্ধু বলতেন রাজচালাকি।

বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে গণফোরাম আয়োজিত আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন একথা বলেন।  

ড. কামাল হোসেন বলেন, আমার খুব দুঃখ লাগে ৩০ ডিসেম্বর যে ঘটনা ঘটলো স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরেও এটা দেখতে হচ্ছে।

আমিতো সরলভাবে বলেছি ভাই সকাল সকাল গিয়ে ভোটে দেবেন। কিন্তু টেলিভিশনে বলেছে কামাল হোসেনতো বুঝতেই পারছেন না, ঘটনাতো রাতেই ঘটে গেছে। উনি সকাল সকাল বলছেন।  

তিনি বলেন, তৃতীয়বারের মতো একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন। ৩০০ লোক সংসদ সদস্য হয়ে গেছেন। আর বিরোধীদলে সাতজন, আমাদের দু’জন। এটার অর্থটা কি। ১৭ কোটি মানুষকে নিয়ে কি খেলা করা যায়।  

বাংলাদেশর জনগণ ক্ষমতার মালিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা রাজনীতি থেকে সরে রাজচালাকিতে চলে যাচ্ছি। ৩০ ডিসেম্বর যেটা হয়েছে, সেটা রাজচালাকির একটা সুন্দর উদাহরণ। আমি বলবো, এই রাজচালাকি থেকে বিরত থাকেন। সংবিধান অনুযায়ী আলাপ-আলোচনার মধ্যে দিয়ে যা করার করেন। এছাড়া কোনো বিকল্প হতে পারে না। কারও জন্য এটা মঙ্গল হবে না। যারা করবে তাদের জন্যও না, যাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে তাদেরতো একদমই হবে না।

‘সংকট বা বিরোধ সৃষ্টি করার কোনো প্রয়োজন নেই। কেন সংকট সৃষ্টি করছেন। এটা কোনো সুস্থ মানুষের করার কথা না। আমি আবার বলছি। সুস্থ মানুষ জেনেশুনে বিরোধ সৃষ্টি করবে কেন। আজ শতকরা একশভাগ মানুষই বলবে, সরকার গঠন করতে হলে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। আসুন বছরের প্রথম দিকে সংকট সৃষ্টি না করে সবার সঙ্গে জাতীয় সংলাপ সবচেয়ে ভালো পথ।  

আলোচনাসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব, গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, মোস্তফা মহসিন মন্টু, মেজর জেনারেল অব. আমসা আমিন, মফিজুল ইসলাম কামাল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৯
এমএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।