ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

তারেককে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে: আইনমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯
তারেককে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে: আইনমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: ডিএইচ বাদল 

ঢাকা: বিদেশে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। 

তিনি বলেন, শুধু তারেক রহমানই নন, বিদেশে অবস্থানরত সব অপরাধীকে ফিরিয়ে আনতে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ প্রক্রিয়া চলমান।

 

রোববার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজ/সমমনা কর্মকর্তাদের চার মাসব্যাপী ৩৮তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।  

জামায়াতকে ঐক্যফ্রন্টে নেওয়া ভুল ছিলো ড. কামাল হোসেনের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ড. কামাল হোসেন সকালে এক কথা বলেন, বিকেলে আরেক কথা বলেন। তার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।  

এর আগে নবীন বিচারকদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, জনগণ যাতে আদালতের বাইরে বিরোধ নিষ্পত্তি করে সে বিষয়ে তাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাদের ভালোভাবে বুঝাতে পারলে তারা এটিকে গুরুত্ব সহকারে নেবেন এবং সেই চেষ্টা করবেন।  

তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোতে মামলা বা বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আদালতের বাইরে বিরোধ নিষ্পত্তির পরামর্শ দেয় সেসব দেশের আদালতগুলো। এ পরামর্শের কারণে সেখানে শতকরা ৯০ ভাগ বিরোধ/মামলা আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি হয়। এভাবে তাদের জুডিশিয়ারির উপর চাপ কমে আসছে।

আনিসুল হক বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচারকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। কেবল আইনের শাসনই নয়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, গণতন্ত্র সুসংহতকরণ এবং দারিদ্র দূরীকরণেও জুডিশিয়ারি বিশেষ করে কোয়ালিটি জুডিশিয়ারির ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই জনগণকে কোয়ালিটি জুডিশিয়ারি উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার বিচার বিভাগকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। মামলা জট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে।

তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে যে, বিচারক হয়ে ওঠার পেছনে দেশের গরিব-দুঃখী-মেহনতি মানুষের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ অবদান রয়েছে। আর বিচারকদের কর্মক্ষেত্রই হলো বিচারপ্রার্থী এসব মানুষের শেষ ভরসাস্থল। তাই বিচারিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সাধারণ জনগণ বিচার বিভাগকে কোন দৃষ্টিতে দেখছেন, কিংবা তাদের চোখে ন্যায়বিচারের ধারণাই বা কেমন, সেটিকে বিবেচনায় নিয়ে কাজ করতে হবে। মোট কথা বিচারপ্রার্থী জনগণের অল্প সময়ে, অল্প ব্যয়ে ও সহজে ন্যায় বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। নিছক গতানুগতিক বা দায়সারা ভাব পরিহার করে কর্মক্ষেত্রে সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দিতে হবে।  

বিচারকদের বিন্দুমাত্র লোভ কিংবা অসততার কারণে বিচার বিভাগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে যাতে কোনো হতাশা বা বিরূপ ধারণার সৃষ্টি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে বললেন আইনমন্ত্রী।  

তিনি বলেন, বিচারকদের পেশার গুরুত্ব যথাযথভাবে অনুধাবন করেই বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যৌক্তিকভাবে বাড়ানো হয়েছে।

বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খন্দকার মুসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) গোলাম কিবরিয়া।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইন সচিব আবু সালেহ মো. শেখ জহিরুল হক বলেন, প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। মনোযোগ সহকারে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে জ্ঞান অর্জন করে সেই জ্ঞান দেশ ও জাতির কাজে লাগাবেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ অস্তিত্বের বিষয়।  

তিনি বলেন, একটি হাত বিচারকের, আরেকটি বারের। অতএব, বারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই বিচার কাজ পরিচালিত করতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯
টিএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।