রোববার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুনছুর আহমেদ জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে এ মামলার ১২ নম্বর আসামি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান গত ১০ জানুয়ারি একই আদালতে হাজির হয়ে জামিন পান।
আসামি পক্ষের আইনজীবী রাসেল মাহমুদ মান্না বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জামিন প্রাপ্তরা হলেন- লক্ষ্মীপুর সদর (পূর্ব) উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক রূপম হাওলাদার, সদর (পশ্চিম) উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মাহবুবুল হক মাহবুব, পৌর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, ইকবাল হোসেন হ্যামেল কারী, যুবলীগ নেতা আকিব খান, রিয়াজুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, সাইফ উদ্দিন আফলু, আলী আজগর ও আশিক আহমেদ।
বিকেলে ওই ১০ নেতা কারাগার থেকে বের হয়ে লক্ষ্মীপুর শহরের তমিজ মার্কেট এলাকার জেলা যুবলীগের কার্যালয়ে যান। এ সময় জেলা যুলীগের সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান তাদের ফুল দিয়ে বরণ করেন।
গত বুধবার (২ জানুয়ারি) লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান ফজলুর সঙ্গে স্থানীয় দেলোয়ার হোসেনের মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে আহতরা লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। দলীয় কিছু নেতাকর্মীকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে ওই হাসপাতালে দেখতে যান জেলা যুবলীগের সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপু। এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেলোয়ারকে মারতে গেলে যুবলীগ নেতাকর্মীদের বাধা দেয় পুলিশ। এতে যুবলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে যুবলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় পুলিশ সদর (পশ্চিম) উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুল হক মাহবুবসহ ১০ নেতাকে আটক করে। পুলিশ বাদী হয়ে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নোমানসহ ৭৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে আটক নেতাদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯
এসআর/আরআইএস/