ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কথার সঙ্গে কাজের মিল নেই আ’লীগের: রিজভী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
কথার সঙ্গে কাজের মিল নেই আ’লীগের: রিজভী বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ফাইল ফটো

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রথমে সংলাপ ও পরে শুভেচ্ছা বিনিময়ে গণভবনে রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানানো হবে বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের কথার সঙ্গে কাজের মিল নেই, এ বক্তব্যই তার প্রমাণ। আমরা বলেছি, আপনারা ভুয়া ভোটের যে নির্বাচন করেছেন, সেটা বাতিল করুন এবং এজেন্ডা কি সেটা ঠিক করুন। তারা একবার বলছেন সংলাপ, আবার সোমবার (১৪ জানুয়ারি) বলেছেন শুভেচ্ছা বিনিময়। এটা সরাসরি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা।

মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা সাজানো মামলায় বন্দি করার মূল কারণই ছিল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

তাকে বাইরে রেখে ভোট ডাকাতির এ রকম নির্বাচন সম্ভব ছিল না। খালেদা জিয়া বাংলাদেশের জনগণের মাঝে উচ্চারিত একজন জনপ্রিয় নেত্রীর নাম। তিনি জীবনে কখনও নির্বাচনে পরাজিত হননি। পাঁচটি ও পরে তিনটি আসনে তিনি বাংলাদেশের যে প্রান্ত থেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, সেখানেই বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। এই জনপ্রিয়তাই তার জন্য কাল হয়েছে। তার এই জনপ্রিয়তা কোনোভাবেই সহ্য করতে পারেনি আওয়ামী লীগ ও দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা।

রফতানি আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস গার্মেন্ট শিল্পকে পরিকল্পিতভাবে সরকার ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, মালিক-শ্রমিকদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি গার্মেন্ট শিল্প এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম। গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যায্য পারিশ্রমিক নির্ধারণ করে তা মালিকদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে সরকারের ব্যর্থতা গত কয়েকদিন ধরে ফুটে উঠেছে। বিদেশি কাউকে সুবিধা দিতে এর পেছনে সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য কাজ করছে বলেই দেশের জনগণ বিশ্বাস করে। অতীতেও আপনারা দেখেছেন স্বাধীনতার পর কীভাবে আওয়ামী লীগ পাট শিল্পকে ধ্বংস করেছে।

বর্তমান অবৈধ সরকার চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে চালের দাম ফের বেড়েছে কয়েক দফায়। প্রতি কেজি চালের দাম গত এক সপ্তাহে বেড়েছে ৬ থেকে ৮ টাকা। সরকারদলীয় সিন্ডিকেটের লোকেরাই কারসাজি করে এই দাম বৃদ্ধি করেছেন। ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানোর কথা বলে একসময় ভোট চাইলেও বর্তমানে মোটা চালের দামও পঞ্চাশ টাকার নিচে নয়। অন্যান্য চাল ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ডা. আব্দুল কুদ্দুস, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
এমএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।