বুধবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ ক্যাম্পাসে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাপস সাহা ও সদর থানা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি সিফাত কোরায়শী সুমন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষ কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী জানান, প্রথমে কলেজ ক্যাম্পাসে দু’গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে দৌড়ে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী অধ্যক্ষের রুমের সামনে আশ্রয় নিলে সেখানেও সংঘর্ষ হয়।
আহত ছাত্রলীগ কর্মীদের মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাজুকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সংঘর্ষের বিষয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন তাপস সাহা ও সুমন।
সিফাত কোরায়শী সুমনের অভিযোগ, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে এখন পর্যন্ত তার গ্রুপের অন্তত ১৫ জন কর্মীকে আহত করেছে তাপস গ্রুপ। দেবেন্দ্র কলেজের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের জিম্মি করে টাকা আদায় ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাপস গ্রুপের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে কলেজে ছাত্রলীগ কর্মী সজিবকে মারধর করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে তাপস সাহা জানান, সুমন ছাত্রলীগের নামে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের প্রতিষ্ঠিত করছে। ছাত্রলীগের নামে সুমন গ্রুপের সন্ত্রাসীরা কলেজে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। সে ছাত্রলীগের একক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলেই প্রকৃত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটায়।
তিনি বলেন, কলেজের সিসিটিভির ফুটেজ দেখলেই প্রমাণ পাওয়া যাবে কারা ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দু’পক্ষেরই মৌখিকভাবে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে সিসিটিভির ফুটেজ চাওয়া হয়েছে। ফুটেজ দেখেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯
কেএসএইচ/আরবি