সোমবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলসহ- সব রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ৩০ তারিখে যে নির্বাচন হয়েছে এটা লজ্জার নির্বাচন।
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বিএনপির এ নেতা বলেন, এদেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতিটা হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। এ নির্বাচনকে ভোট ডাকাতি, ভোট চুরি যাই বলেন এরকম একটি নির্বাচনকে যারা জায়েজ করে তারা দুর্নীতির বিচার করতে পারবেন, দুর্নীতি বাদ দিতে পারবেন। এটা আমরা মনে করি না। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলবো আপনি গণতন্ত্রের আয়নায় নিজেকে দেখেন। আর দেখলে আপনি দেখবেন আপনি স্বৈরতান্ত্রিক প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আপনার এ চেহারা গণতন্ত্রের সঙ্গে যায় না, ৭১ সালের স্বাধীনতার সঙ্গে যায় না।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ৩০ তারিখ ভোট হয়নি, হয়েছে ২৯ তারিখ মধ্যরাতে। ৩০ তারিখে ভোট হলে আপনাকে অভিনন্দন জানাতাম। আপনি পুলিশকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে রেখেছেন, তারা এখন সমাজে মুখ দেখাতে পারে না। আমার প্রশ্ন, পুলিশ তো সরকারি চাকরি করে, তাদের কেন এরকম ভাবে ব্যবহার করলেন। আপনারা র্যাব, ডিসি, এসপি, ইউএনও যারা মর্যাদাশীল এ চাকরিজীবীদের জাতির সামনে এতো ছোট করলেন কেনো? তাদের কেনো বাধ্য করলেন তথাকথিত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে?
তিনি বলেন, বিএনপি হয়তো এ অবস্থায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে নাই। কিন্তু এ কথা ভাবার কোনো কারণ নাই, আগামী ৫ বছর তারা (সরকার) ক্ষমতায় থাকবে। কারণ যেকোনো সময় অসত্যের পতন হয়। সত্য দীর্ঘস্থায়ী হয়। এখন যা চলছে তা অসত্য।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এবং বিএনপি নেতা মোহাম্মদ শাহজাহান কামালের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য হায়দার আলী লেলিন, মো. শাফিন, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
এমএইচ/এসএইচ