শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
গণঅভ্যুত্থানের ৫০ বছর স্মরণে এ আলোচনার সভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, সেদিন আমাদের হাতের উপরে আসাদ শহীদ হয়েছে। একজন শহীদের শেষ নিঃশ্বাস আমি শুনেছি। আমরা শপথ নিয়েছিলাম রক্ত বৃথা যেতে দিব না। যে মিছিল বের হয়েছিল তার কোনো শেষ নাই। ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছিল। বিপদজনক সিগনাল দেওয়া হলেও আমরা কানে নিইনি। পল্টন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত মিছিল কিন্তু শেষ নাই। এমন কোনো মহল্লা ছিল না যেখানে মিছিল হয়নি। গণঅভ্যুত্থান ছিল ইতিহাসের মাইলফলক।
বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, পৃথিবীতে যত জাতির পিতার জন্ম হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বিচক্ষণ নেতা জন্মগ্রহণ করেননি। তিনি যা বিশ্বাস করতেন তা বলতেন। একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে এক কাতারে নিয়ে এসেছিলেন।
ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ডাকসু নির্বাচনে আমরা মতপথের ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম। ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ছাত্রদের নতুন নেতৃত্ব তৈরি হবে। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
অধ্যাপক মুহম্মদ সামাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু যেভাবে রাজনীতি করেছেন আমরা যদি সেটা আমাদের ভেতর ধারণ করতে পারি তাহলে আমাদের দেশ আরও সামনে এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করি আমরা সকলে মিলে একটি পরিবার। আমরা যদি মিলেমিশে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে পারি তাহলে এই বাংলাদেশ সোনার বাংলা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
এসকেবি/এমজেএফ