ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জনগণের সংসদ গঠনই সংকট সমাধানের পথ: বিএনপি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১১ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৯
জনগণের সংসদ গঠনই সংকট সমাধানের পথ: বিএনপি

ঢাকা: দলীয় প্রধান খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক মামলায় কারাবন্দিদের মুক্তি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সংসদ গঠনই দেশের সংকট সমাধানের একমাত্র পথ বলে মনে করে বিএনপি।

শনিবার (২৯ জুন) রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মন্তব্য করেন।  

মির্জা ফখরুল বলেন, স্থায়ী কমিটির সভায় বরগুনায় গত ২৬ জুন দুর্বত্তদের হামলায় রিফাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের ব্যর্থতার কারণেই ঘটছে। যেহেতু এই সরকার নির্বাচিত নয়, তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই।  

‘যেহেতু ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে সন্ত্রাস ও অস্ত্রের মুখে জনগণের অধিকার হরণ করা হয়েছে। সেহে‍তু রাষ্ট্রের প্রতি জনগণের আস্থা হারিয়ে গেছে। ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলেছে। ’
 
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে চরম অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকট বিরাজ করছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে এই চরম অবস্থা থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে, গণতন্ত্রের জন্য যিনি আজীবন লড়াই করেছেন সেই নেত্রী খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক কারণে যেসব কর্মীদের বন্দি করে রাখা হয়েছে তাদের মুক্তি ও অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সংসদ গঠন।
 
মির্জা ফখরুল বলেন, বৈঠকে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন বেগবান ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
 
ছাত্রদলের চলমান সংকট সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্রদল নিয়ে যারা কাজ করছেন তারা এ বিষয়ে বলবেন। আমি ছাত্রদল নিয়ে কোনো কথা বলবো না।
 
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, উনি এই ধরনের কথা প্রায়ই বলেন, এই ধরনের কথা আগেও বলেছেন। আমরা মনে করি, তাদের যে রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা এসব তারই বর্হিপ্রকাশ। আমি মনে করি, এই ধরনের চিন্তা করাও রাজনৈতিক কোনো চিন্তা বলে মনে হয় না।
 
কবে নাগাদ আন্দোলনের কর্মসূচি আসবে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন,  এ ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যেই এই কর্মসূচিগুলো আসবে।
 
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৯
এমএইচ/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।