তবে গত ঈদে সব নাতনিরা দেশের বাইরে থাকলেও এবার ঈদে কিছু সময়ের জন্য কাছে পেয়েছিলেন দুই নাতনিকে। ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর দুই মেয়েকে নিয়ে দুপুরে বাসার রান্না করা খাবার খেয়েছেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অসুস্থ খালেদা জিয়া দুই নাতনিকে দেখে খুশি হয়েছেন। দাদীকে পা ধরে সালাম করার পর দুই নাতনিকে বুকে জড়িয়ে আদর করেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো না। তিনি কারো সাহায্য ছাড়া একা হাঁটতে পারেন না। হুইল চেয়ারে করে তাকে চলাচল করতে হয়। ডায়াবেটিক থাকায় প্রতিদিনই তাকে ইনসুলিন নিতে হয়। রয়েছে দাঁত ও চোখের সমস্যা। হাত-পায়ে আর্থারাইটিসের ব্যথাও রয়েছে তার।
ঈদের দিন কারা কর্তৃপক্ষ সীমিত পরিসরে ছয়জনকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখার অনুমতি দেয়। ছয়জনের মধ্যে ছিলেন কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়ে ছাড়াও ছিলেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা এবং ছেলে অভিক এস্কান্দার।
প্রায় দুই ঘণ্টা নাতনি, ছোট ছেলের বউসহ ছোট ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন খালেদা জিয়া।
দুপুর দেড়টায় খালেদা জিয়ার স্বজনদের বিএসএমএমইউর ছয়তলার কেবিনের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কারাগারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তারা খালেদা জিয়ার কেবিন কক্ষে প্রবেশ করেন।
সেবার জন্য গৃহকর্মী ফাতেমাও খালেদা জিয়ার সঙ্গে রয়েছেন। তিনিও স্বজনদের সঙ্গে একই খাবার খেয়েছেন।
বিকেল চারটার পর স্বজনদের বিদায় দিয়ে যথারীতি ফাতেমার সঙ্গে সময় কাটছে খালেদা জিয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৯
এমএইচ/আরআইএস/