মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি (জাফর) আয়োজিত কাজী জাফরের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভায় তিনি একথা বলেন।
রুমিনের পক্ষ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ছোট-খাট বিষয় নিয়ে পাগলের মতো ফেসবুকে দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই।
‘আমি কার কথা বলছি আপনারা বুঝতে পারছেন। পত্র-পত্রিকাও শুরু করেছে এই ধরনের …, এখন একেবারে ড্রাম বাজিয়ে শুরু করেছে, রুমিনের (রুমিন ফারহানা) বিরুদ্ধে একটি অবস্থান তৈরির জন্য। রুমিন তো অন্যায় করেনি। হতে পারে এই সহজ জিনিসটা বুঝতে পারেনি।
তিনি বলেন, রুমিন জোর গলায় পার্লামেন্টে, পার্লামেন্টের বাইরে, টেলিভিশনে সবখানে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে, সবখানে সে গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলে এবং দেশনেত্রীর মুক্তির কথা বলে। আমাদের চিন্তাভাবনার লোক যারা আছেন তাদের অনুরোধ করবো- দয়া করে আপনারা ফেসবুকে তার বিরুদ্ধে বা অন্য কারও বিরুদ্ধে এবং আমাদের লোক কারও বিরুদ্ধে কোনো কমেন্ট করবেন না, লিখবেন না। এটা ক্ষতি হবে আন্দোলনের। বরং তাকে পরামর্শ দিন তার কি করা উচিত, কোনভাবে যাওয়া উচিত।
মির্জা ফখরুল বলেন, এখন গ্রামে গ্রামে বন্দরে বন্দরে মানুষের কাছে ছড়িয়ে যেতে হবে, মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। যে কথা আমি বারবার বলি- এই কাজটা হচ্ছে তরুণদের, এই কাজটা হচ্ছে যুবকদের। শুধু ফেসবুকে থাকলে আন্দোলন হবে না, একটা ছবি ফেসবুকে দিলে আন্দোলন হবে না। আন্দোলনে মানুষকে সংগঠিত করে রাজপথে নেমে আসতে হবে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব বলেন, আজকের প্রেক্ষাপটে যারা ২৯ তারিখে ভোট ডাকাতি করেছে, দিনের পরিবর্তে রাতে ভোট চুরি করেছে, যত বড় দলই হোক এককভাবে কোনো আন্দোলন করে এই স্বৈরাচারকে সরানো যাবে না। এককভাবে আন্দোলন করে স্বৈরাচারের আয়ু বাড়িয়ে দেওয়া হবে।
জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব এএসএম শামীমের পরিচালনায় স্মরণসভায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির নিতাই রায় চৌধুরী, মনিরুল হক চৌধুরী, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয় পার্টি(কাজী জাফর) জাফরুল্লাহ খান লাহরী, নওয়াব আলী আব্বাস খান, মজিবুর রহমান, শফিউদ্দিন ভুঁইয়া, রুহুল আমিন, সেলিম মাস্টার, প্রয়াত নেতা কাজী জাফর আহমদের জ্যেষ্ঠ কন্যা কাজী জয়া কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
এমএইচ/এএ