শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেজিংয়ে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের দপ্তরে ওয়ার্কার্স পার্টি এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এ সহায়তা কামনা করেন।
ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিনিধিদলে ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আলী আহমেদ এনামুল হক এমরান।
অপরদিকে চীনা ভাইস মিনিস্টার গুয়ো ইয়াজুওয়ের সঙ্গে ছিলেন মা জুয়োসং হু জিয়াদং ও তান ওয়েই।
বৈঠকে মেনন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি থাকা সত্ত্বেও দু’বছর অতিবাহিত হওয়ার পরেও রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিচ্ছে না মিয়ানমার। মিয়ানমার ও বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে চীন এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে বাংলাদেশের জনগণ এ ব্যাপারে কিছুটা হতাশ। তারা এখনও আশা করে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চীন মিয়ানমারকে আরও উৎসাহিত করবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির এলাকায় পাহাড় ও বনভূমি ধ্বংস হওয়ায় পরিবেশ বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে সামাজিক সমস্যা।
মেনন বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। উগ্রপন্থী আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীরা রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে নানা অপকর্ম এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত করাচ্ছে। রোহিঙ্গা শিবিরে অর্থ ও অস্ত্রের জোগান দেওয়া হচ্ছে।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনে চীনের অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে চীনের ভাইস মিনিস্টার বলেন, সমস্যাটি জটিল। আরও জটিল যেন না হয়, সে ব্যাপারে সতর্কতার সঙ্গে এগুতে হবে।
বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের ব্যাপারে এসময় তিনি ওয়ার্কার্স পার্টিসহ অন্যান্য বাম দলসমূহের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯
আরকেআর/আরবি/