রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শহীদ মনসুর আলী হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিডিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৯’ এর সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় পার্টির বর্তমান অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী একথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাই সব বিরোধীদল শক্তিশালী হোক।
ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য ডিআরইউ’কে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তরুণ ও যুব সমাজকে মাদকাসক্তি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি আসক্তি এবং জঙ্গিবাদ থেকে মুক্ত রাখতে হলে খেলাধুলা ও সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত ক্রীড়ামোদী একজন মানুষ। তিনি সবসময় খেলাধুলাকে উৎসাহ দিয়েছেন। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রিকেটে অবস্থান পেয়েছে। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে।
‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই আমাদের দেশে নারীদের প্রগতি হয়েছে। নারী ক্রিকেট দলই শুধু নয়, নারী ফুটবল দলও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে বড় বড় জয় পেয়েছে। এমনকি পাকিস্তানকে ১২ গোল দিয়েছে, ভারতকে হারিয়েছে। ’
এসময় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ১২৭তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ১২৭তম জন্মবার্ষিকীতে আমার কামনা থাকবে, রাজনীতির নামে অপরাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত। রাজনীতির নামে জঙ্গি-সন্ত্রাস-আশ্রয়ী ও মিথ্যাচারের যে অপরাজনীতি, সেটি চিরদিনের জন্য বাংলাদেশে বন্ধ হোক। রাজনীতি যে ব্রত, এটি অনেক রাজনীতিবিদ ভুলে গেছেন। এসব পরিহার করে জনগণের জন্য রাজনীতি করতে হবে।
তিনি বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সারাজীবন দেশের জন্য সংগ্রাম করেছেন। পাকিস্তান সৃষ্টির পর ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত কোনো সংবিধান ছিল না। আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করার পর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে পাকিস্তানে প্রথম সংবিধান তৈরি হয়। ১৯৪৯ সালে মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তানে মুসলিম আওয়ামী লীগ গঠিত হয়। এরপর আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৪৯ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ গঠিত হয়। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হচ্ছেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
বিএনপি আহুত মানববন্ধন সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবরা মানববন্ধন করবেন, এটা ভালো। মানববন্ধন তারা করতেই পারে। তবে মানববন্ধন যেন অতীতের মতো জ্বালাও-পোড়াওয়ে রূপান্তরিত না হয়, সেটি তাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে। আর সেটিই যদি হয়, দেশের মানুষ যেমন অতীতে তাদের প্রতিহত করেছে, এখনও তাই করবে।
ডিআরইউ সভাপতি ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটন গ্রুপের ক্রীড়া বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং ডিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান স্বাগত বক্তা হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
সিক্স-এ-সাইড ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ৪০টি দলের মধ্যে আরটিভি দল টাইব্রেকারে চ্যানেল ২৪-কে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয়। তথ্যমন্ত্রী চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলের হাতে পদক তুলে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯
এসএ/