তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনি প্রক্রিয়ায় হবে না। কঠিন থেকে কঠিনতর আন্দোলন করতে হবে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মৎস্যজীবী দল আয়োজিত মানববন্ধনে দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও যুগ্মমহাসচিব সোহেল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আদালতে যখন ন্যায় বিচার বন্ধ হয়ে যায়, তখন সবার অলক্ষ্যে আর একটি আদালত বসে। সেটি হচ্ছে জনতার আদালত। এ আদালতে কোনো এজলাস নেই, লাল টেলিফোন নেই, খাস কামরা নেই। এ আদালত বসে দেশের মাঠে, ঘাটে, বটতলায়, গ্রামে-গঞ্জে। এই আদালত শুধু ন্যায় বিচারের রায়ই হয় না, অপরাধীদের কঠিন শাস্তিও হয়।
হাবিব-উন-নবী খান অভিযোগ করেন, ‘দেশের নিম্ন আদালতে কোনো ন্যায় বিচার নেই। তবে উচ্চ আদালতে কিছুটা বিচার পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কোনো আদালতেই বিচার পাচ্ছেন না। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও নাজমুল হুদা এবং মোফাজ্জল হোসেন মায়াসহ অনেক অপরাধী জামিন নিয়ে মুক্ত বিহঙ্গের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আনন্দ করছেন। আমাদের নেত্রী অন্যায়ভাবে অমানবিকভাবে আটক রয়েছেন। তিনি জামিন পাচ্ছে না। ’
তিনি বলেন, যারা ছাত্র রাজনীতিকে কলঙ্কিত করেছে তাদের শুধু বহিষ্কার করলেই হবে না। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে এদের যারা গডফাদার তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।
কর্মসূচিতে বিএনপি নেতা ডা. এ জে এম জাহিদ হোসেন বলেন, জামিন পাওয়া মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু আজ ষড়যন্ত্র করে আমাদের নেত্রীকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়া হেঁটে আদালতে গেলেও আজ হুইল চেয়ারে অন্যের সহায়তা ছাড়া নিজস্ব কোনো কাজই করতে পারছেন না। তারপরও চিকিৎসকেরা বলছেন, খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন।
তিনি বলেন, আজ ছাত্রলীগ ভিসির কাছেও চাঁদা দাবি করে। টাকা পাচার হচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। ছাত্রলীগের নেতাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাবের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিম চৌধুরী, সেলিম মিয়া, হাবিবুল হক হাবিব, উমর ফারুক পাটোয়ারী, জাকির হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
এমএইচ/এমএ