ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘বাকশাল বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের সহযোগিতা করেছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
‘বাকশাল বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের সহযোগিতা করেছে’ সভায় বক্তব্য রাখছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আব্দুর রব। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আব্দুর রব বলেছেন, স্বাধীনতার তিন বছরের মধ্যে গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল করা হয়েছিলো, কয়েক মিনিটের মধ্যে পার্লামেন্টে বিল পাস করতে হয়েছে এজন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগেনি। বাকশাল বাংলাদেশে সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করেছে এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের সহযোগিতা করেছে। 

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডে শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে ‘বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস ও আমরা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।  

আ স ম রব বলেন, স্বৈরাচার দিয়ে গণমানুষের উন্নয়ন হবে না।

জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন করে স্বৈরাচার হটানো যাবে না। পুরো জাতির গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক, বামপন্থি শক্তি সবাই মিলে জাতীয় বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমে এদের বিদায় করতে হবে।  সবাইকে এক হয়ে রাজপথে নামতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশে গণতন্ত্র নাই। আর ক্ষমতাসীনরা কী মনে করেন এর চাইতে সুন্দর গণতন্ত্র হতে পারে না। এজন্যে স্পষ্ট করে বলা দরকার- ক্ষমতায় যারা আছেন ওরা মিথ্যুক, ওরা প্রতারক, ওরা কাপুরুষ।

তিনি বলেন, আমরাই সাহসী, আমরা ১০ বছর লড়ছি। আমরা আছি-শেষ পর্যন্ত আমরা লড়বো। কোনো বিভ্রান্তিতে আমাদের পড়া ঠিক হবে না।

ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে ডাকসুর সাবেক ভিপি মান্না বলেন, সম্প্রতি একটা টকশোতে গেছি, গত কয়েকদিন ধরে এই যে, ছাত্রলীগের বিরাট অর্জন-এটা নিয়ে কথা হচ্ছে এবং উনারা আমাদের দিয়ে বলাবার চেষ্টা করেন- প্রধানমন্ত্রী যে এর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখিয়েছেন এটাকে অন্ততঃ প্রশংসা করেন, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে দায়িত্ব থেকে বের করে দিয়েছেন-এটাকে ভালো বলবেন না ?

মান্না বলেন, আরে এটা যদি ভালোই হতো, এটা যদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে বার্তাই হতো তাহলে হলমার্কের কেলেংকারির পরে আপনার উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি কেন? এটা যদি সত্যিই হতো আপনি জনগণকে বার্তা দিতে চান যে আপনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াই শুরু করতে চান তাহলে দেশের সব কয়টা ব্যাংক যে একের পর এক খালি হয়ে যাচ্ছে-এ ব্যাংকের পতনের জন্যে যারা যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কিছু করেছেন আজ পর্যন্ত। কিছুই করেনি ….।

মান্না আরও বলেন, আপনার আগের অর্থমন্ত্রী (আবুল মাল আবদুল মুহিত) বলেছেন, সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ওটা তো বাদামের খোসার মতো। ওই বাদামের খোসার অর্ধেক জায়গার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ১০ বছর সাজা দিয়েছেন। উনি (খালেদা জিয়া) টাকাটা চুরি করেছেন? ওই টাকা এক ব্যাংকে রাখার কথা সেটা আরেক ব্যাংকে আছে। বলতে পারেন যে, উনি একটা ইরেগুলারিটি করেছেন। সেই দুই কোটি টাকা ফুলে-ফেঁপে আট কোটি হয়েছে।

তিনি বলেন,  উনার যদি ১০ বছর সাজা হয়, তাহলে ৮৬ কোটি টাকা চাওয়ার জন্যে কয় বছর সাজা হবে? সেই সাজার ব্যবস্থা করেননি আপনি (প্রধানমন্ত্রী)। জোর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে ঘুষ চাওয়ার অপরাধে তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কথা ছিলো না। কোনো মামলার ধারে-কাছেই যাচ্ছেন না। ওদের দল থেকে বের করে দিয়েছেন? ওরা তো ছাত্রলীগের নেতা আছে, ডাকসুরও নেতা আছে, ওটা কী ছেড়েছে তারা।  

প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদুল্লাহ কায়সারের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য সংস্থার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, জনসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, গণফোরামের জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের এস এম আকরাম, মোমিনুল ইসলাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
এমএইচ/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।