বুধবার দিনগত রাতে উজিরপুরের জলবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবক নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের লাভাঙ্গা গ্রামের খোদাবক্সের ছেলে রুবেল হোসেন।
এ ঘটনার জন্য উজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিনের লোকজনকে দায়ী করছেন রুবেল ও তার সহযোগীরা। তবে উজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তা অস্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে নয়ালাভাঙ্গা এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সালাম বলেন, বুধবার রুবেল ও তার দুই বন্ধু রবিউল এবং হাবু উজিরপুরের জলবাজার এলাকায় গেলে রাত ৮টার দিকে তাদের ধরে নিয়ে যায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিন ও তার সহযোগীরা। পরে তাদের একটি ঘরে বন্দি করে রাত ২টার দিকে রুবেলের ২ হাতের কব্জি কেটে ৩ জনকে ছেড়ে দেয়। এ সময় রুবেলের বন্ধুরা আমাকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও দাবি করেন, সম্প্রতি পাকা ইউনিয়নের একটি ঘাটের টেন্ডার জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জেরে তার কর্মী রুবেলকে চেয়ারম্যান সহ ৮-১০ জনের একটি বাহিনী কুপিয়েছে।
অন্যদিকে উজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিন এ ঘটনা অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, একজনকে কোপানোর কথা শুনেছি। তবে ঘটনাস্থল আমার ইউনিয়নের বাইরে ৬ নম্বর বেড়িবাঁধ এলাকায়। প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ফাঁসানোর জন্য তার ওপর দায় চাপাচ্ছে।
দু’হাত হারানো রুবেলের দাবি, শিবগঞ্জের উজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ফয়েজ উদ্দিনের সঙ্গে নদীর ঘাট নিয়ে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলছিলো। তারাই তাকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে গিয়ে হাত কেটে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার টি এম মুজাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বিভিন্ন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল ও উজিরপুর এলাকায় চিরুনি অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি বলে জানান পুলিশ সুপার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
এসএইচ