শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, উই আর হ্যাপি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপকর্মের বিরুদ্ধে, অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন। এখানে ঢালাওভাবে ছাত্রলীগ-যুবলীগের প্রশ্ন নয়, আওয়ামী লীগেরও কেউ যদি অপকর্ম করে, তিনি সেটারও খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। দুর্নীতি, অপকর্ম, শৃঙ্খলাভঙ্গ- এসবের জন্য অনেকেই নজরদারিতে রয়েছে। সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুটিকয়েক মানুষের জন্য গোটা পার্টি তো বদনামের ভাগিদার হবে না। কোনো গডফাদারেরই রেহাই পাওয়ার কারণ নেই। যেই হোক, তার পরিচয় গডফাদার হলেও রেহাই নেই। কেউ মদদ দিয়ে থাকলে কিংবা আশ্রয়-প্রশয় দিলে, পুলিশের মধ্যেও যদি কেউ এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকে, তবে পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না।
অভিযান প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা রাজধানীকেন্দ্রিক সেটা ঠিক নয়, সারাদেশে যেখানেই অপকর্ম, দুর্নীতি, অনিয়ম হবে, শৃঙ্খলাভঙ্গ হবে সবখানেই একই নিয়মে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কার্যকর হবে। এখন যুবলীগ-ছাত্রলীগ বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। ছাত্রলীগের দু’জনকে অব্যাহতি দেওয়া, যুবলীগের একজনকে গ্রেফতার করা, ক্যাসিনোকেন্দ্রিক যে অভিযান, এটা ঢালাওভাবে ছাত্রলীগ আর যুবলীগের বিরুদ্ধে নয়। ছাত্রলীগ-যুবলীগে বহু ত্যাগী নেতাকর্মী রয়েছে, তারা অনেক ভালো কাজও করছে। এখানে দুর্নীতি, অনিময়, বিশৃঙ্খলার সঙ্গে যারা জড়িত, যাদের আচরণে পার্টি এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, ঠিক তাদের বিরুদ্ধেই কেস টু কেস খোঁজ-খবর নিয়ে অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে, আগেও নেওয়া হয়েছে। এটা বাংলাদেশে একটা উজ্জ্বল উদাহরণ, এটা অব্যাহত থাকবে। আমি মনে করি, এর ফলে সরকারের ভাবমূর্তি বাড়বে, আওয়ামী লীগেরও ভাবমূর্তি বাড়বে। শুধু যুবলীগ-ছাত্রলীগ নয়, আওয়ামী লীগেও যারা এসব কাজ করছে, তাদেরও মনে রাখা উচিত- কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অতীতে বিএনপির মতো বড় দল ক্ষমতায় ছিল। তারা তাদের দলের কোনো অপকর্ম, লুটপাট, দুর্নীতি, খুন এসব নিয়ে কোনো অ্যাকশনে যায়নি।
ঢাকাকে ক্যাসিনোর শহর বানানো হয়েছে- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের বিষয়ে কাদের বলেন, ঢাকাকে ক্যাসিনোর শহর বানিয়েছে বিএনপি। তাদের সময় এই ক্যাসিনোগুলো ছিল। সেই ক্যাসিনোর ব্যাপারে অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে। সরকারের প্রথম বছরেই কিন্তু অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে। প্রথম আট-নয় মাসেই এসব ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। এমন তো নয় যে, ইলেকশনকে সামনে রেখে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। বিএনপির সময়ও তো এই ক্যাসিনোগুলো ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯ (আপডেট: ১৪৫৫)
এসকে/এএ/একে