শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জনতা লীগ (বিজেএল) আয়োজিত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপের দিকে দেশবাসী তাকিয়ে আছে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, জাতির পিতার কাছে আমরা ঋণী। তার সুযোগ্য কন্যা হিসেবে দীর্ঘদিন দেশ শাসন করছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। আমাদের প্রত্যাশা, এটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করবেন। কারণ দেশ ও জাতি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ দেখতে চায়। জাতির পিতার কন্যা হিসেবে আপনার আছে মানুষের অনেক প্রত্যাশা।
বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, বিশ্ব গণমাধ্যমে দেখি, বাংলাদেশের মানুষ রাবারের ট্যাংকিতে করে সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছেন, নারীরা বিদেশে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তারপরও তারা কাজের জন্য, জীবিকার জন্য যাচ্ছেন। তাই বেকার সমস্যা দূর করতে হবে, মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে। ছোট রাজনৈতিক দল টিকিয়ে রাখতে জাতীয় সংসদে আনুপাতিক হারে প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে হবে।
জাতীয় পার্টির নতুন চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৯০ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতন হয়নি, ওই সময় এরশাদ স্থান পরিবর্তন করেছেন। তিনি ক্ষমতা ছেড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে গেছেন। শেষ পর্যন্ত তিনি মানুষের অন্তরে চলে গেছেন, যার প্রমাণ তার জানাজাগুলোতে মানুষের ঢল।
বিজেএলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ওসমান গণি বেলালের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট শেখ শহিদুজ্জামান। আরও বক্তব্য রাখেন বিজেএলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
ইএআর/একে