রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কামরুল হাসান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
এর আগে, শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) কিশোরীর বাবা ওই অভিযোগে ঘিওর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, এ ঘটনায় কামালকে ঘিওর উপজেলা যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান জনি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে কিশোরীর বড় বোনকে বিয়ের করার প্রস্তাব নিয়ে তাদের বাসায় যান কামাল। পরে তার আন্তরিক ব্যবহারে মেয়ের পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সূত্রে কিশোরীকে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে নিয়ে যেত কামাল। দুই মাস আগে কিশোরীটিকে নিয়ে ঢাকায় বেড়াতে যান কামাল। সেখানে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন। হোটেল রুমে কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে কামাল। পরে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নিয়মিত কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। পরে ধর্ষণের ওই ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দিলে সেই ভিডিও লোক মারফত দেখতে পান মেয়েটির বাবা।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার মামলা হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে কামালকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার দুপুরে কামালকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। তবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২,২০১৯
এমআরএ/এসআরএস