সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একথা বলেন।
ক্যাসিনোর বিষয়ে বিএনপি সরকারকে দোষারোপ করছে এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, আজ মির্জা ফখরুল বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু তাদের আমলে তাদের দলের নেতাকর্মীকে কখনও শাস্তির আওতায় আনা হয়নি।
আরও পড়ুন>>প্রধানমন্ত্রী বলে গেছেন তার অনুপস্থিতিতেও অভিযান চলবে
‘আমরা কাজটা সিরিয়াসভাবে শুরু করেছি। অপরাধের বিষয়ে কারও সঙ্গে কোনো আপস বা ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন নেই, শুরু হয়েছে ‘ওয়েট অ্যান্ড সি’ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। মফস্বলে অনেকে গ্রেফতার হচ্ছে, জেলা পর্যায়ে অনেকে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে যারা এসব অপকর্মের মধ্যে রয়েছে। এখানে মুখের কথা নয়, আমরা মিন করছি শেখ হাসিনা মিন করছেন তাই ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। এ অভিযান চলবে যতদিন না দুর্নীতি মাদকের চক্রকে ভেঙে দিতে না পারি। ’
তিনি বলেন, এসব বিষয়গুলো এতোদিন অন্ধকারে ছিল, পুলিশ কেন দেখেনি, নেতারা কেন দেখেনি। নেতাদের দেখানোর জন্য তো সাংবাদিকরা আছেন। আপনারা তো ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের অনুসন্ধানী রিপোর্ট কেউ করেননি। আপনারা সাংবাদিকরাই চোখ খুলে দেবেন। আপনাদের রিপোর্ট দেখে অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে। মিডিয়াকে স্বীকার করতে হবে আপনাদেরও এটা কাজ, বেটার লেট দ্যান নেভার।
সামনে কোনো বড় ধরনের চমক রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি চমক বলতে চাই না। ক্রিমিনাল অফেন্স যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
যুবলীগের সম্রাট ও আওয়ামী লীগের অনেক নেতাদের নাম এলেও গ্রেফতার হচ্ছে না কেন প্রশ্নে কাদের বলেন, অ্যাকশনটা শুরু হয়েছে এক সপ্তাহ হলো, সবকিছু যাচাই-বাছাই করে হবে। যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা কি কম অপরাধী। কাজেই এখানে কেউ পার পাবে না, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কিছু কিছু বিষয় আছে সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা খোঁজ-খবর নিচ্ছে।
তিনি বলেন, অনেকে তো গা ঢাকাও দিয়েছে, কাজেই এদের খুঁজে বের করতে হবে। অনেককে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। অতীতে যারা হয়তো নিজেকে আড়াল করে রেখেছে, খোঁজা হচ্ছে ছাড় দেওয়া হবে না।
গ্রেফতার জি কে শামীম সরকারের বড় বড় কাজ করছেন। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ ভবন নির্মাণের কাজও তিনি করছেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা যদি আগে আপনি (সাংবাদিক) বের করতে পারতেন ভালো হতো না? এটা সরকারই করেছে, সরকারকে দেখিয়ে দেবে সাংবাদিকরা। আমি পত্রিকা পড়ে, মিডিয়া রিপোর্ট দেখে কোথায় রাস্তা খারাপ, কোথায় ব্রিজ পড়ো পড়ো অবস্থা- এ বিষয়গুলো তো সাংবাদিকরাই আমাদের দেখান। কাজেই বিষয়টা আপনাদের অগোচরেই রয়ে গেছে।
শামীম কাজ পেতে বিপুল অংকের টাকা ঘুষ দিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে, এ বিষয়টি তদন্ত করবেন কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা একটু বের করুন কাদের কাদের ঘুষ দিয়েছে। কেউ বসে নেই, একটু পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসছেন তার সঙ্গেও আমার কথা হবে, কেউ বসে নেই। সরকারের পক্ষ থেকে আটঘাট বেঁধেই নেমেছি, এখানে কোনো প্রকার আপস নেই।
জেলা পর্যায়েও কি অভিযান চলবে- জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অলরেডি চলছে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি, বেটার লেট দেন নেভার। আমরা তো কাজটা করছি সরকারের এক বছরও এখনও যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
জিসিজি/এএ