শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাহিদ হাসান।
এর আগে, বিকেলে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায় থেকে তাকে আটক করা হয়৷
আটক শামীমুল আলম শামীম আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি।
মারধরের স্বীকার দু’জন হলেন- মাইটিভির সাভার প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল ওয়াহিদ ও ঢাকা জেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি ওবাইদুল ইসলাম।
সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল ওয়াহিদ জানান, সকালে কুরগাঁও সোসাইটির প্রফেসর পাড়া এলাকার কামরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির জমি অবৈধভাবে দখল বিষয়ে সরেজমিনে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান তিনি। এসময় আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএ শামীম তাকে বাধা দেন। এক পর্যায়ে জমির মালিকের স্বজন ওবায়দুর রহমান ও তাকে শামীম জোরপূর্বক তার ব্যক্তিগত অফিসে নিয়ে যান।
পরে সেখানে তাদের কোনো কথা না শুনেই হঠাৎ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও রূঢ় আচরণ করতে থাকেন ছাত্রলীগ নেতা শামীম। এক পর্যায়ে রেশি দিয়ে তাদের বেঁধে পাইপ ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন শামীমসহ সঙ্গীয় ৭/৮ জন। পরে কৌশলে ব্যাপারটি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মারধরের ঘটনা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআই নাহিদ হাসান বলেন, সাংবাদিকসহ দু’জনকে আটকে রেখে মারধরের খবরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। এসময় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা শামীমকেও থানায় নিয়ে আসা হয়।
তবে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশে ঘটনাটি অধিকতর তদন্ত করে পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
এএ