সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শহীদ রফিক-জব্বার হলের কর্মীদের মধ্যে মারধরের এ ঘটনা ঘটে।
এতে বঙ্গবন্ধু হলের এক কর্মী কাচের বোতল দিয়ে আঘাত করলে আরেক ছাত্রলীগকর্মী সাব্বির হোসেন নাহিদের মাথা ফেটে যায়।
মারধরে জড়িতদের বিচার চেয়ে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে শহীদ রফিক-জব্বার হলের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সোমবার দুপুরে ভর্তিপরীক্ষা চলাকালীন সময়ে শহীদ মিনারের পাশে অবস্থিত শেখ জামাল ভর্তি সহায়তা কেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করছিল শহীদ রফিক জব্বার হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা। এক ভর্তিচ্ছুকে কেন্দ্রে পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য সিএসই বিভাগের সামনে যান ছাত্রলীগকর্মী সাব্বির হোসেন নাহিদ। এই ভবনের সামনে টাকার বিনিময়ে ব্যাগ, মোবাইল ইত্যাদি রাখার জন্য তাঁবু দেয় বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগকর্মী দর্শন বিভাগের ৪৬তম আবর্তনের ছাত্র জাকির হোসেন। তাঁবুতে ওই পরীক্ষার্থীর মোবাইল রাখার জন্য জবরদস্তি করে। তখন নাহিদ টাকার বিনিময়ে মোবাইল রাখতে জোরাজুরি করার প্রতিবাদ জানালে জাকির তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার এক পর্যায়ে চড় থাপ্পড় মারতে শুরু করে।
এসময় উপস্থিত সহকারী প্রক্টর রনি হুসাইন তাদের থামানোর চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থালে উভয় হলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হলে রফিক-জব্বার হলের কর্মীদের ওপর হামলা করে বঙ্গবন্ধু হলের নেতা-কর্মীরা।
অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, হামলাকালে বঙ্গবন্ধু হলের ৪৬তম আবর্তনের গণিত বিভাগের রিফাত ও মুন্না একটি কাচের বোতল দিয়ে নাহিদের মাথায় সজোরে আঘাত করে। এতে নাহিদের মাথা ফেটে রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
এ হামলার বঙ্গবন্ধু হলের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয় বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রেজওয়ানুর রহমান জানান, মারধরের এ ঘটনায় মোট তিনজন চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে নাহিদের মাথার পেছনে গুরুতর যখম থাকায় তাকে এনাম মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘আমরা আজ সন্ধ্যায় শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি সভা ডেকেছি। যথাযথ প্রমাণ ও উপস্থিত সহকারী প্রক্টরদের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯
এএ