বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, সরকারি বিভিন্ন দফতর ও ভবনের কাজের যে টেন্ডার তা তার হস্তক্ষেপের বাইরে যেত না। তাকে মোটা অংকের টাকা না দিয়ে ছাড় পেতো না কোনো কাজ।
২০১২ সালে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর আরও প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন সম্রাট।
এর আগে তিনি ছিলেন যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক। তখন থেকেই তিনি এসব অপকর্মে জড়ান। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সম্রাটের হাত শক্তিশালী হতে থাকে। আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতার দাপট দেখাতে শুরু করেন তিনি। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিয়ন্ত্রণে নেন অনেক কিছু।
শুধু দুনীতি অপকর্মই নয়, দলের কর্মী-সমর্থকও অনেকটা তার নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। যুবলীগ বা আওয়ামী লীগের বড় বড় কর্মসূচিতে জমায়েত বাড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতেন সম্রাট। বিশেষ করে ঢাকার প্রেক্ষাপটে যুবলীগ সম্রাটের ওপর অনেকটা নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন সময় যেসব বড় বড় কর্মসূচির আয়োজন করা হতো তখন ওই কর্মসূচি কেন্দ্র করে মোটা অংকের চাঁদাবাজিও ছিল সম্রাটের নিয়ন্ত্রণে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ দলের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি, দুর্নীতিসহ নানা অপকর্মের বিষয়ে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ওই সময় তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়ার অপর্কের কথাও উল্লেখ করেন।
এরপর গত ১৮ সেপ্টেম্বর খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়াকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতারসহ অভিযান শুরুর পর আত্মগোপনে চলে যান সম্রাট। যুবলীগের আরেক নেতা জিকে শামীমও আটক হন। এসময় তিনি গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান।
সূত্র জানায়, দেশের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেন অনেক বার। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারির কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়।
রোববার (৬ অক্টোবর) ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে তিনি আটক হন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৯
এসকে/এএ