ভবনের প্রবেশমুখে ব্যানার-পোস্টারে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ছবি সাঁটানো। তবে প্রধান দুই পিলারে দলের প্রধান শেখ হাসিনার চেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট।
বাম পাশের পিলারে লম্বা আকারে বড় করে সাঁটানো ওমর ফারুকের ছবি। হঠাৎ দেখলে মনে হবে তিনি হেঁটে আসছেন। ডান পাশের পিলারে সাঁটানো হয়েছে হারুনুর রশিদ ও সম্রাটের ছবি। সম্রাট এতই প্রভাব-প্রতাপশালী হয়ে উছেঠিলেন যে কাউকে পাত্তা দিতেন না। দলের অনেক নেতাকর্মীও ছিলেন তার হাতে জিম্মি।
ঢাকার ক্যাসিনো রাজ্যের অঘোষিত রাজাও এই সম্রাট। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। রাত-দিন জমজমাট থাকতো এ কার্যালয়। এখানেই চলতো সব লেনদেন।
কিন্তু ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পর থেকেই সেই রাজ্যে পিনপতন নীরবতা শুরু হয়। সম্রাট আত্মগোপনে গেলে তার সহযোগী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও আসা বন্ধ করে দেন।
কার্যালয়ের সামনে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বন্দনায় মুখর সব ব্যানার-পোস্টার। তাতে সম্রাটের বিশেষণে লেখা ‘যুব বন্ধু, যুবসমাজের নয়নের মণি, যুব সমাজের আইকন’ ইত্যাদি। অথচ তাদের তুলনায় শেখ হাসিনা সেখানে অনেকটাই অনুপস্থিত।
এছাড়াও ওমর ফারুক চৌধুরী রচিত বিভিন্ন বইয়ের প্রচ্ছদও টাঙানো। তার কার্যালয়ের সামনে লেখা যুব জাগরণ (পাঠাগার, প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র), প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী। এছাড়াও পুরো এলাকা জুড়ে ছাত্রলীগের সৌজন্যে সম্রাটের ব্যানার ফেস্টুন টাঙানো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৯
টিএম/এএ