বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারের রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করার জন্য আয়কর অধ্যাদেশ অনুসারে বর্ণিত ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকে পরিচালিত সব অ্যাকাউন্টে অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তর স্থগিত করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।
চিঠিতে মো. ওমর ফারুক চৌধুরী ছাড়াও তার স্ত্রী সুলতানা রেখা, ছেলে আবিদ চৌধুরী, মুক্তাদির আহমেদ চৌধুরী, ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এসব অ্যাকাউন্ট ছাড়াও ওমর ফারুক চৌধুরীর মালিকানাধীন দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লেক ভিউ প্রপার্টিজ এবং রাও কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে।
চিঠি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকাউন্ট জব্দ করা ও অ্যাকাউন্টের সর্বশেষ স্থিতিসহ অন্যান্য তথ্য জরুরি ভিত্তিতে বিএফআইইউর কাছে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
অবৈধ ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান শুরুর পর আলোচনায় থাকা যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে রোববার (২০ অক্টোবর) সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
গণভবনে যুবলীগের নেতাদের সঙ্গে সংগঠনটির সাংগঠনিক নেত্রী, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে একথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
দুর্নীতি, অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা ও টেন্ডারবাজির অভিযোগে সম্প্রতি যুবলীগের বেশ কয়েকজন নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর নানা বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন ওমর ফারুক চৌধুরী। পরে গ্রেফতার কারও কারও জিজ্ঞাসাবাদে ওমর ফারুকের নাম আসে বলেও সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। এরপর ওমর ফারুকের ব্যাংক হিসাব তলব করার পাশাপাশি বিদেশ গমনেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে ওমর ফারুক আড়ালে চলে যান। গত ৩ অক্টোবর তাকে গণভবনে দলীয় এক অনুষ্ঠানে দেখা গেলেও এরপর আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। গত ১১ অক্টোবর তাকে ছাড়াই হয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সভা।
২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস বা সম্মেলনকে সামনে রেখে সংগঠনের নেতাদের প্রধানমন্ত্রী রোববার গণভবনে ডাকলেও ডাকা হয়নি তাকে। আর এই বৈঠকেই ওমর ফারুক চৌধুরীকে যুবলীগ থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
এসই/জেডএস