শ্রমিক লীগের পরবর্তী নেতৃত্বে কারা আসছেন তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সংগঠনটিতে রয়েছে ৩৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি।
সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খান সিরাজুল ইসলাম, সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আলম মিল্কি, তোফায়েল আহমেদ, প্রচার সম্পাদক কে এম আজম খসরু প্রমুখ।
শ্রমিক লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই বছর পর পর সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমান কমিটি সাত বছরেরও বেশি সময় পর জাতীয় সম্মেলন করতে যাচ্ছে। বর্তমান শ্রম আইন অনুযায়ী পরেরবার থেকে কমিটির মেয়াদ তিন বছর হবে।
জাতীয় শ্রমিক লীগের এই সম্মেলন উপলক্ষে একটি প্রস্তুতি কমিটি ও নয়টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল সম্মেলন মঞ্চ ও প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। এই মঞ্চেই আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এখানেই কৃষক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের সম্মেলনও এই মঞ্চেই অনুষ্ঠিত হবে। শ্রমিক লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশের সড়কগুলো বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে।
সারাদেশে শ্রমিক লীগের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। এসব জেলা থেকে আট হাজার কাউন্সিলর ও সমান সংখ্যক ডেলিগেটস সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার সংগঠনের নেতারাও সম্মেলনে অংশ নেবেন। এছাড়া, আন্তর্জাতিক সংগঠন আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর, আইটিইউসি’র এশিয়া প্যাসিফিকের সেক্রেটারি জেনারেল ও সার্কের জেনারেল সেক্রেটারি আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে শ্রমিক লীগের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।
সম্মেলনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। উৎসবমুখর পরিবেশে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। নেত্রী (শেখ হাসিনা) যাকে যোগ্য মনে করবেন, তিনিই পরবর্তী নেতৃত্বে আসবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
এসকে/একে