শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
এছাড়াও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদল ঢাকা পশ্চিমের সভাপতি জুয়েল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক কাউসার, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রনি, পল্টন থানা যুবদল নেতা নজরুল ইসলামসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
মিছিল শেষে এক পথসভায় বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে পুরোদমে টালবাহানা চলছে। গত ২৯ ডিসেম্বরের রাতের ভোটের সরকার সব অবৈধ ক্ষমতার জোরে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। গুরুতর অসুস্থ নেত্রীর জামিনে বাধা দেওয়া হচ্ছে। দেশজুড়ে অরাজকতা, অনাচার, দুরাচার ঢাকতেই খালেদা জিয়াকে এখনও মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখে ভোট ডাকাতির কলঙ্কিত নির্বাচন কখনো সম্ভব ছিল না। কারণ দেশনেত্রী খালেদা জিয়া দেশের জনগণের কাছে একজন জনপ্রিয় নেত্রী। তিনি জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তির প্রতীক, সত্য ও ন্যায়ের প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক। এজন্যই তার ওপর চলছে নির্যাতনের বিভিষিকা।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের একেক মন্ত্রী নিত্যপণ্যের মূল্যের বাজার নিয়ে একেক কথা বললেও বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে না। মন্ত্রীদের কথা এখন চরম রসিকতায় পরিণত হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্যের দাম জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। সরকারের কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। নিজেদের এ সীমাহীন ব্যর্থতা ঢাকতেই বিরোধী দল ও মতকে দমন করা হচ্ছে। তিনি অবিলম্বে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
এমএইচ/আরআইএস/