শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে খুলনায় প্রতিহিংসার বিচারে বন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নগরের কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির এ সমাবেশের আয়োজন করে।
আবদুল মঈন খান সুন্দরবনকে এ জনপদের রক্ষাকবচ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এখানে কয়লা চালিত তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হলে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে। পরিবেশ-প্রতিবেশ বিনষ্ট হবে। সরকার সমর্থিত গুঁটিকয়েক লোকের পকেট ভারি করতে সারাবিশ্বে বাতিল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ হবে আত্মঘাতী। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষার স্বার্থে বিএনপি সুযোগ পেলে এ প্রকল্প বাতিল করবে।
তিনি বলেন, সরকার প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে খালেদা জিয়াকে এক বছর নয় মাস বন্দি করে রেখেছে। হাসপাতালে রাখলেও তার সুচিকিৎসা হচ্ছে না। যে অভিযোগে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে, একই রকম অভিযোগে জামিন দেওয়ার অসংখ্য নজির এ দেশেই আছে। কিন্তু তাকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশের সংবিধানে উল্লেখিত মৌলিক মানবাধিকার তার ক্ষেত্রে লঙ্ঘিত হচ্ছে। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী, একজন নারী এবং একজন সিনিয়র সিটিজেন। শুধুমাত্র এ তিন কারণে তিনি জামিন পেতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার উন্নয়নের ফাঁকা বুলি দিচ্ছি। মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি করছে। ১০০ কোটি টাকা প্রকল্প একনেকে ঢুকে, পাস হয়ে বের হচ্ছে এক হাজার কোটি টাকায়। জনগণের পকেট কেটে, ঋণের বোঝা বাড়িয়ে গ্রহণ করা এসব মেগা প্রজেক্টের বাড়তি টাকা কাদের পকেটে ঢুকছে- জানতে চান মঈন খান। ভাওতাবাজির উন্নয়নের খপ্পরে চালের দাম হু হু করে বাড়ছে। দেশে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান বেড়েই চলছে। উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার গালগল্প শোনালেও যশোর-খুলনা মহাসড়কটির বেহাল দশা ১০ বছরেও শেষ হয়নি। ইউরোপ, আমেরিকা, এমনকি বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের এক কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণ ব্যয়ের চাইতে আমাদের ব্যয় কয়েকগুণ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা, মহানগর সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, বিএনপি নেতা সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, অধ্যাপক ডা. গাজী আব্দুল হক, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুল বারী, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ফজলে হালিম লিটন, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, মেজবাউল আলম, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, খায়রুল ইসলাম জনি, রেহানা আক্তার, মেহেদী হাসান দীপু, মাহবুব হাসান পিয়ারু, একরামুল হক হেলাল, মুজিবর রহমান, শরিফুল ইসলাম বাবু এবং হেমায়েত হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
এমআরএম/আরআইএস/