রোববার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করুন।
খালেদা জিয়াকে প্রায় ২০ মাস ধরে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে দাবি করে ফখরুল বলেন, তিনি কোনো কিছুতে জড়িত না থাকার পরও শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে এই সাজা দেওয়া হয়েছে। অথচ একই সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে যে মামলা দেওয়া হয়েছিল সবগুলো মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে। আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা ছিল ৪টি যা এখন হয়েছে ৩৭টি। আর প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা ছিল ১৫টি যা সব তুলে নেওয়া হয়েছে।
‘এই সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার নয়, তারা সম্পূর্ণ অবৈধভাবে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। তাদের সমর্থন দেশের মানুষের নয়। তাদের অস্ত্র ভিন্নখানে যারা তাদের ক্ষমতায় রেখেছে। ’
এরপর আর সমাবেশের অনুমতি নেবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের এই সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে সকাল দশটার সময়। এখন থেকে আমাদের সমাবেশ আমরা যখন প্রয়োজন হবে করবো। আমরা রাজপথে নামবো, এটা আমাদের অধিকার। আমাদের সাংবিধানিক অধিকার যে আমি প্রতিবাদ করতে পারবো।
শনিবার রাতে নিহত ‘বিএনপি পাগল রিজভী হাওলাদারের’ কথা স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি ছিলেন আমাদের একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মী। সারাক্ষণ এই কার্যালয়ের সামনে থেকে তিনি আমাদের নেত্রীর মুক্তি চাইতেন, গণতন্ত্রের মুক্তি চাইতেন।
সমাবেশে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, যে মামলায় খালেদা জিয়ার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই সেই মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। সবাই মিলে একযোগে অপপ্রচার করেছে এতিমের টাকা নাকি মেরে খাওয়া হয়েছে। অথচ একটি টাকাও খরচ হয়নি। সব টাকা ব্যাংকে রয়েছে। অতএব এতিমের টাকা মারার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আপনারা কি খালেদা জিয়ার মুক্তিতে আন্দোলন করবেন না এই সরকারের পতনের আন্দোলন করবেন? আমি বলতে চাই, এই সরকারের পতন না হলে খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী, ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আব্দুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, নাজিম উদ্দিন আলম, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনসি বজলুল বাসিত আনজু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, মহিলা দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
এমএইচ/এইচএডি/