তারা বলেন, আমরা ব্যক্তিগতভাবে এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। এমনকি দলের মুখপাত্র হিসেবে যিনি প্রতিদিনই সংবাদ সম্মেলন করেন সেই রহুল কবির রিজভীও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে মুখ খুলবেন না বিএনপি নেতারা। চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলানিউজকে বলেন, দল যদি কোনো প্রতিক্রিয়া দেয় সেটা জানানোই আমার কাজ। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সবচেয়ে সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এটা আদালতের ব্যাপার। এখানে আমার ব্যক্তিগত কোনো মতামত নেই। আমাদের দলের মুখপাত্র আছেন, যদি কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয় সেটা তিনি দেবেন। আমার কোনো বক্তব্য নেই।
স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সবকিছুতে প্রতিক্রিয়া দেওয়া লাগে না কি অপরাধ প্রমাণ হয়ে থাকলে ফাঁসিতো হবেই, হয়েছে। একটা দুর্ঘটনা ঘটছে, বিচার হয়েছে। রায় হয়েছে, এটাই স্বাভাবিক ঘটনা।
যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, অন্যায় করলে বিচার হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে বাহবা নেওয়ার জন্য যে বাড়াবাড়ি সেটা সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। মানুষ প্রকৃত অপরাধের বিচার চায়, সাজানো অপরাধের না। যারা অন্যায় করেছে, তাদের বিচার হয়েছে, অসুবিধার কিছু নেই।
দলীয় মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী বলেন, এ বিষয়ে এখন আমি কিছু বলতে পারবো না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
এমএইচ/ওএইচ/