শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, আজকের বৈঠকে আমাদের দলের চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভারতের চুক্তির বিষয়ে জানতে চেয়ে যে চিঠি দিয়েছিলাম এক সপ্তাহ পার হলেও কোনো জবাব পাইনি। সে কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি দু’একদিনের মধ্যে তথ্য অধিকার আইনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেবো।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বীর কারণে মানুষ অতিষ্ঠ। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে আগামী ৩ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সংবাদ সম্মেলনে জনগণের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরবো।
ভারতে যারা এনআরসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হননি তাদের বাংলাদেশে পুশব্যাক করার চেষ্টা করা হচ্ছে যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, আমরা ভারতীয় পত্র পত্রিকায় জানতে পারলাম তাদেরকে বাংলাদেশে পুশব্যাকের চেষ্টা করা হচ্ছে। অথচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন এ বিষয়ে উদ্বেগের কারণ নেই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী যেভাবে বলেছেন সেরকম হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে আগামী ৭ ডিসেম্বর (শনিবার) সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জনগণকে জানাবো।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
এমএইচ/জেডএস