এদিকে, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সম্মেলনের বিষয়েটি দিনে রাতে স্লোগানে-স্লোগানে জানান দিচ্ছে কাউন্সিলরসহ জেলাবাসীকে। কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবিসহ ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে শহরের প্রধান প্রধান মোড়গুলো।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হলেও কাউন্সিল অধিবেশন হয়নি। ওই সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মহিউদ্দিন খাঁন মান্নাসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত থেকে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন। এরপর আর কোনো কাউন্সিল হয়নি। ১৩ বছর পর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
তবে এবারে শতভাগ সম্মেলনের মাধ্যমে তৃর্ণমূল দলকে গুছিয়ে নিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ। জেলা শহরের ৯টি ওয়ার্ড ও একটি পৌরসভাসহ ছয় উপজেলায় সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়েছে। দল গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক।
ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আহ্বায়ক পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন বলেন, ৫ ডিসেম্বরের সম্মেলনের জন্য কাউন্সিলরদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এবারের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এমপি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রংপুর, রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজনৈতিক নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম মোজাম্মেল হক, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক প্রমুখ।
ইতোমধ্যে সম্মেলনের জন্য জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে নৌকার আদলে প্যান্ডেল তৈরিসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও বাকী সব পদের জন্য লবিং গ্রপিং চলছে। ৫ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শহরজুড়ে দেখা যায় নানা রঙের ব্যানার ও ফেস্টুন।
কেন্দ্রীয় নেতাদের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যের নামের তালিকা প্রকাশের দাবি জানান নেতাকর্মীরা।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলরা অভিযোগ করে বলেন, জেলা নেতারা অতীতে তাদের পছন্দমত সদস্য বানিয়ে কেন্দ্র থেকে অনুমোদন করিয়ে নিয়েছেন। এতে প্রকৃত ও ত্যাগী নেতাদের বাদ পড়ার সম্ভবনা থেকেই যায়। অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে এমন দাবি তোলেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯
এসএইচ