মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় একসঙ্গে শুরু হবে খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এ কারণে সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সম্মানিত অতিথি থাকবেন বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) শেখ হেলাল উদ্দিন। সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ।
সম্মেলন পরিচালনা করবেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ১৪ দলের সমন্বয়ক ও সাবেক এমপি মিজানুর রহমান মিজান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী।
বিশেষ অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মসিউর রহমান।
প্রধান বক্তা থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান। বিশেষ বক্তা থাকবেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আযম, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম মিলন, আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়।
সম্মেলনস্থল ঘুরে দেখা গেছে, ১২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৭০ ফুট প্রস্থের দলীয় প্রতীক নৌকার আদলে বানানো হয়েছে মঞ্চ। এ মঞ্চেই বসবেন ৩শ নেতা। কাউন্সিলর ডেলিগেটসসহ আগত নেতাকর্মীদের বসার জন্য ৩০ হাজার চেয়ার দেওয়া হয়েছে সম্মেলন স্থলে। নগর ও জেলায় ৭৮২জন কাউন্সিলর। এর মধ্যে মহানগরতে ৫৩২ জন এবং জেলায় ২৫০ জন কাউন্সিলর রয়েছেন।
এদিকে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো খুলনা নগর। অনেক নেতার নামে বিভিন্ন স্থানে নির্মিত হয়েছে তোরণ।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মহানগর ও জেলায় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে সম্ভাব্য প্রার্থী ১৯ জন। বর্তমান সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবারও নগর কমিটির সভাপতি থাকার সম্ভাবনা আছে। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন ১৪ দলের সমন্বয়ক সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান। তিনিও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী তালিকায় রয়েছে আরও সাতজন। তারা হলেন- খুলনা নগর আওয়াওমী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা এম ডি এ বাবুল রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফারুক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ও আবুল কালাম আজাদ কামাল, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির নব-নির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম, দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, তিনিও সভাপতি পদে প্রার্থী। এছাড়া সভাপতি পদে রয়েছেন আরও দু’জন প্রার্থী। তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এম মুজিবর রহমান ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোহরাব আলী সানা। জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী, তিনিও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী রয়েছে আরও সাতজন। তারা হলেন- জেলার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মো. আকতারুজ্জামান বাবু, বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়াম্যান আশরাফুল আলম খাঁন, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অসিত বরণ বিশ্বাস ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত এম এম মোস্তফা রশিদী সুজা এমপি’র সহোদর সাবেক ছাত্রনেতা এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
এমআরএম/আরআইএস/