শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে সম্মেলন শুরুর সময় নির্ধারিত রয়েছে। তবে সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেন্দ্রীক বাড়তে থাকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভিড়।
সম্মেলন কেন্দ্রস্থল ও আশপাশের এলাকা ঘিরে দেশের সব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। বাড়তি পুলিশ ও র্যাব সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, শাহবাগ, মৎস্যভবন, হাইকোর্টের সামনের এলাকা, দোয়েল চত্ত্বর, টিএসসি এলাকাসহ উদ্যানের চারপাশে বাড়তি পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সেনা সদস্যদেরও অবস্থান করতে দেখা গেছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের সাজোয়া যান, জলকামান ও প্রিজন ভ্যান।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি প্রবেশ পথে সতর্ক অবস্থা দেখা গেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের। এছাড়া, প্রতিটি প্রবেশপথে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে, যার মধ্য দিয়ে সবাইকে সমাবেশস্থলের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, বিপুল সংখ্যক র্যাব-পুলিশ সদস্য মোতায়েনসহ প্রস্তুত রয়েছে পুলিশের বিশেষায়িত সব টিম। পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। নেতাকর্মীদের প্রবেশের সময় আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর এবং প্রয়োজনে অ্যানালগ তল্লাশির মধ্য দিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাঁচটি প্রবেশ পথের মধ্যে শিখা চিরন্তনের ফটক দিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ ভিআইপিরা প্রবেশ করবেন। বাকিগুলো দিয়ে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা প্রবেশ করবেন।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আওয়ামী লীগের এ সম্মেলনে বিপুল সংখ্যক জনসমাগমের কথা মাথায় রেখে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় নিঃশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। এদিন ভোর থেকেই পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। সভাস্থলের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে।
প্রতিটি প্রবেশপথে তিনস্তরের নিরাপত্তা রয়েছে। মেটাল ডিটেকটরের পাশাপাশি ফিজিক্যালি তল্লাশি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
পিএম/জেডএস