গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ভোট ডাকাতির নির্বাচন অ্যাখ্যা দিয়ে কালো পাতাকা মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিল বাম গণতান্ত্রিক জোট।
এ সময় মৎস্যভবন এলাকায় পুলিশ তাদের বাধা দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, জোনায়েদ সাকিসহ হাসপাতালে বেশ কয়েকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার পর থেকে হাইকোর্ট-মৎস্যভবন এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রমনা জোনের ডিসি সাাজ্জাদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, দুপুর ১টার দিকে বাম জোটের নেতারা যখন মিছিল নিয়ে মৎস্যভবনের দিকে আসেন, আমরা তাদের অনুরোধ করেছিলাম যেন ব্যারিকেড না ভাঙে। কিন্তু তাদের নেতাকর্মীরা কথা শোনেননি। তারা প্ল্যাকার্ডের সঙ্গে থাকা লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেন। আমরা অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি। পরে আমাদের পাঁচ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত দু'জন। তখন আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি।
এদিকে, পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামী মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছে গণতান্ত্রিক বাম জোট। জোটের সমন্বয়ক কাফী রতন জানান, হামলার ঘটনায় জোটের অন্যতম সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকীসহ ২৫-২৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন ‘পুলিশের লাঠিপেটায়’। তারা সবাই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা চার-পাঁচ জনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছি। ভিডিও ফুটেজ দেখে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
>> বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিলে লাঠিপেটা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
এজেডএস/ইএআর/আরআইএস/এজে