শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার হরণ এবং আজকের বাস্তবতা, বেগম খালেদা জিয়ার জামিন প্রাপ্য কিন্তু প্রতিহিংসার বিচারে অবরুদ্ধ জামিন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আমরা এবার আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে মাঠে, ময়দানে থাকবো।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, নির্বাচনের আগে অনেকেই বলছেন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কিন্তু নির্বাচনের আগেই সবাই ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। এবারও লোক দেখানো নির্বাচন হবে। এ সরকার আবারও প্রমাণ করবে তাদের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে অর্থনীতি, কৃষি, আইন-শৃঙ্খলা বিচার বিভাগসহ সব ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। দেশের জনগণ এ সরকার আর চায় না।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, খালেদা জিয়া গ্রেফতারের পর এখন পর্যন্ত একটা মিছিল হয়নি। দুই বছর পরে আন্দোলন হতে পারে। তবে আপনাদের ঠিক করতে হবে, আন্দোলন করবেন কি না? আন্দোলন করতে হলে আন্দোলনের মতো করতে হবে। গণতন্ত্রহীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারে না। রাষ্ট্র পরিচালনা করতে দেবো না। এটাই আমার কথা।
তিনি বলেন, একদিকে রোহিঙ্গারা দেশে অবস্থান করছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক বলেছেন অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা ৪৪৫ জন। আমি জানতে চাই, দেশের মানুষ জানতে চায়- মোট কতজন অনুপ্রবেশকারী দেশ ঢুকেছে। কবে তারা ভারত গিয়েছিল, কত বছর থেকেছে। ক্ষমতার লোভে সরকার মুখ খুলছে না। দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে মূল্য বাড়ছে। ক্রয় ক্ষমতা সাধ্যের বাহিরে চলে যাচ্ছে। বড় লোক আরও বড় হচ্ছে। গরীর আরও গরীব হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সরকার আর থাকতে পারে না।
জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের উদ্যোগে সভায় সভাপতিত্ব করেন তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন আবদুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন ইসলাম খাঁন, অধ্যক্ষ শাহ মো. নেছারুল হক, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২০
পিএস/আরআইএস/