হিন্দু ধর্মের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে একটা সম্মানজনক সমাধান খুঁজে নেওয়া উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর মুলতবি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, নির্বাচন আগানো বা পেছানো ইসির এখতিয়ার। এ ব্যাপারে আমাদের সরকারের কোনো কিছু বলার বা করার ছিল না। এখানে সরকারকে দোষারোপ করা অযৌক্তিক।
তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এ সমস্যার সমাধান করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একজন প্রবীণ নেতা ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, পূজার দিন নির্বাচনের তারিখ দিয়ে সরকার অন্যায় করেছে। আমরা বলতে চাই, এই তারিখটি সরকার নির্ধারণ করেনি। ইসি একটি সাংবিধানিক সংস্থা। তারিখ ঘোষণা করা তাদের এখতিয়ার। এ ব্যাপারে সরকারকে দোষারোপ করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। যারা এই নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সংক্ষুব্ধ হয়েছেন তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটা সমাধান খুঁজে বের করা যেতে পারে। ইসি যদি মনে করে তারিখ আগাতে বা পেছাতে পারে তাতে আমাদের কোনো বক্তব্য বা মন্তব্য নেই। নির্বাচন সংক্রান্ত সব দায়িত্ব ইসির। সবকিছু নির্ভর করবে ইসির সিদ্ধান্তের উপর। আমরা সব ধর্মের প্রতি সম্মান দেখাই। হিন্দুধর্মালম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতি পূজার প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। আলোচনা করে একটা যৌক্তিক সমাধান খুঁজে করা উচিত। যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে সম্মানজক সমাধান খুঁজে নেবেন এটাই আমরা আশা করছি।
ইভিএম নিয়ে বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বগুড়ার দুপচাচিয়া ইভিএম দিয়ে ভোট গ্রহণ হয়েছে। সেখানে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। মির্জা ফখরুল সাহেব কি কখনও বলেছেন এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি। তারা কি প্রত্যাখান করেছে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, হিউম্যানরাইটস ওয়াচের ওয়াচ কি সঠিক হয়েছে, আমার প্রশ্ন। বিরোধীরা প্রতিদিন সরকারের বিরুদ্ধে গালিগালাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে সব ভাষা ব্যবহার করছে, অস্রাব্য ভাষায় প্রধানমন্ত্রীকে গালিগালাজ করছে। সরকার কারো কণ্ঠ রোধ করলে তারা কি এ ভাবে গালিগালাজ করতে পারতো।
সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সম্পর্কে কাদের বলেন, তাদের বিসয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। প্রত্যাহার করানোর জন্য আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
এসকে/এসএইচ