শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
রিজভী বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) যেভাবে সরকারের তত্ত্বাবধানে আদালতের অবিচারের শিকার হচ্ছেন, এমন পরিস্থিতিতে তার যদি আরো বড় কোনো ক্ষতি হয়ে যায়, তাহলে জনগণ কাউকেই ক্ষমা করবে না।
রিজভী বলেন, সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস দশার কথা বিবেচনা না করে সরকার বিদ্যুৎ ও ওয়াসার পানির দাম আবারো বাড়িয়েছে। ‘যখন ইচ্ছা বিদ্যুতের দাম বাড়াতে পারবে সরকার’ এই স্বেচ্ছাচারী আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করিয়ে জনগণের ওপর ভয়াবহ জুলুম চালাচ্ছে।
‘গণমানুষ, ভোক্তা অধিকার কিংবা ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর যুক্তি-অনুরোধ কোনো কিছুরই তোয়াক্কা না করে যখন মন চাচ্ছে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটছে। জনগণকে শোষণ করে আওয়ামী সিন্ডিকেটের মুনাফার জন্য সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। ’
তিনি বলেন, লুটপাটের বড় অনুষঙ্গ কুইক রেন্টাল করে এখন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভাড়া গুনতে হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। গতবার কুইক রেন্টালগুলো উৎপাদন না করলেও ভাড়া দিতে হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। এবছর দিতে হবে ২০ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ীরা পাচার করে দিচ্ছে বিদেশে।
‘আওয়ামীগের আমলে এই নিয়ে ৯ বার বাড়ানো হলো বিদ্যুতের দাম। বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে সাধারণ মানুষের। শিল্প মালিকদেরও ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ দশা। দেশীয় শিল্পকারখানা ধ্বংস করে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান বন্ধের মাধ্যমে দেশকে বড় ধরনের বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। ’
কর্মসূচি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের প্রতিবাদে ২৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী মহানগর ও জেলা সদরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে। ঢাকায় শনিবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হবে বিক্ষোভ সমাবেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০
এমএইচ/এএ