ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘সংক্ষিপ্ত সময়ে’ নারী নির্যাতনের বিচার করার দাবি ১৪ দলের 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২০
‘সংক্ষিপ্ত সময়ে’ নারী নির্যাতনের বিচার করার দাবি ১৪ দলের 

ঢাকা: নারী-শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতন প্রতিরোধে আইন সংশোধন করে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে বিচারের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের নেতারা। একই সঙ্গে নারী-শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলারও আহ্বান জানান তারা।

রোববার (০১ মার্চ) নারী-শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ১৪ দল আয়োজিত সমাবেশে নেতারা এ আহ্বান জানান। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তণে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

 

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।

তিনি বলেন, যারা নারী ও শিশুর ওপর নির্যাতন করে তাদের রুখতে হবে। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ দমন করেছেন। সেই দেশে কোনো নারী-শিশু নির্যাতনকারীর কিংবা ধর্ষকের স্থান হবে না। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার শপথ নিতে হবে।  

আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে নাসিম বলেন, আমি আপনাদের অনুরোধ করবো, দ্রুত বিচার আইন আছে। কিন্তু এ ধরনের মামলার বিচার আরও সংক্ষিপ্ত সময়ে সম্পন্ন করতে হবে। আইনমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান- আইন সংশোধন করে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে এদের বিচার ও ফাঁসি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে। মুজিববর্ষে আমরা ভারতের প্রধানমন্ত্রীসহ সে দেশের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা অবশ্যই মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এটা নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা চলবে না।  

‘বিএনপিকে বলবো- ভুল ত্রুটি স্বীকার করে মুজিববর্ষের কর্মসূচি পালন করুন। ভুল স্বীকার না করলে জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না। আপনারা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিববর্ষের কর্মসূচিতে অংশ নিন। ’ 

সমাবেশে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, যে দেশের প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নে, শিশু মৃত্যু রোধে আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কৃত হন সেই দেশে নারী-শিশু নির্যাতন চলতে পারে না। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। তারা সব অর্জন নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে। এ বিষয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে।  

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, নারী-শিশু নির্যাতনের কারণ রাজনৈতিক ও সামাজিক। যারা ভাষা আনোদালনের বিরোধিতা করেছি, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে তারাই ধর্মীয় ওয়াজের নামে নারী বিদ্বেষী বক্তৃতা দিচ্ছে। এদের দমন করতে হবে।  

‘জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিতে হবে ওয়াজে নারী বিদ্বেষী কোনো কথা, নারীনীতি বিরোধী কোনো কথা চলবে না। যারা নারী বিদ্বেষী ওয়াজ করবে তাদের দাঁড়াতে দেবেন না। ’

নারী নির্যাতন রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।  

সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফি, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল আলম, বিএমএ-এর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী, জাতীয় পার্টি (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২০
এসকে/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।